
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলই ঘর গুছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। চেষ্টা করছে রাজনৈতিক চমক দেওয়ার জন্য। জনজাতিদের মন পেতে শাসক দল বিজেপি এবার হাতিয়ার করছে জনজাতি গৌরব দিবসকে। এমন আভাস গেরুয়া শিবির সূত্রে।
আগামী ১৫নভেম্বর জাতীয় জনজাতি গৌরব দিবস।এদিন বীরষা মুন্ডার মুন্ডার জন্ম জয়ন্তী। এই উপলক্ষে রাজ্যের জনজাতি সমাজকে এক সূত্রে গাঁথা জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক দল। ধলাই জেলা ও খোয়াই জেলাতে দুইটি বড় অনুষ্ঠান করবে বিজেপি।এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটা করেই পালন করা হবে বীরষা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তী।দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে রাজ্যের ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায়ের সমাজপতিরা উপস্থিত থাকবেন। সঙ্গে জনজাতি বুদ্ধিজীবীরাও।

জনজাতি সম্প্রদায়ের সমাজপতি ও বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব জানতে চাইবেন আরো কিভাবে এই সম্প্রদায়ের উন্নয়ন করা যায়। কোথায় কোথায় তাদের ঘটতি রয়েছে। এই সমস্ত ঘাটতিগুলি আগামী দিনে কিভাবে পূরণ করা যায়,এই সংক্রান্ত পরামর্শ দেবেন সমাজপতিরা। তাছাড়া দুই দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বসবে মেলা ।এই মেলাতে থাকা স্টলে জনজাতিরা তাদের তৈরি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসবে। বিজেপির এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও কিরণ রিজিজু। এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনজাতি সম্প্রদায়ের সমাজপতি ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।

ইতিমধ্যে বীরষা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পাহাড়ে ক্যম্পেনিং শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।ভোটের মুখে বীরষা মুন্ডার জন্ম জয়ন্তীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে জনজাতি ভোট কব্জা করার রণকৌশল নিয়েছে শাসক শিবির।দলের জনজাতি নেতৃত্ব ইতি মধ্যেই ভিতরে ভিতরে প্রবেশ করেছে। বুথ থেকে মন্ডল স্তর পর্যন্ত এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। সামনে থেকে গোটা কর্মযজ্ঞকে সফল করতে ময়দানে নেমেছেন বিজেপির জনজাতি মুখ সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। সঙ্গে দলের জনজাতি মোর্চার নেতৃত্বও দিন রাত খাটা খাটুনি করছেন।
বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটের আগে তিপ্রামথা চাপে ফেলতে জনজাতি মোর্চার এই অনুষ্ঠান যথেষ্ট কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে। এবং জনজাতিদের এক মঞ্চে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।