ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ফেব্রুয়ারি।।
রাজধানীতে প্রতিদিন বেড়ে চলছে চুরি,ছিনতাইয়ের ঘটনা।তাও আবার প্রকাশ্যে দিবালোকে।থানা পুলিশে মামলা দায়ের করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।পুলিশ বাবুরা মাঘের শীতের আমেজ নিতে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।তাতে অবশ্যই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে অপরাধ চক্র।তাহলে কি করছেন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা? মানুষের অভিযোগ, পুলিশ বাবুরা শুধু তোলার টাকা আদায় করেছেন।এবং নেতা-মন্ত্রীদের তুষ্ট করতে নিয়মিত দিচ্ছেন স্যালুট। কখনো তোলার টাকার একাংশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন নেতাবাবুদের বাড়িতে।তাতে অবশ্যই সাধারণ মানুষের কিছু আসে-যায় না।
মহারাজগঞ্জ বাজার রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম অঞ্চল।নিরাপত্তার স্বার্থে মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। তবে ফাঁড়ি পুলিশ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে বাজার থেকে তোলা আদায়ে ব্যস্ত।কারণ মহাজারগঞ্জ বাজার এলাকা সমস্ত অবৈধ ব্যবসার “আতুর ঘর”। এখানে দিনরাত চলে অবৈধ বাণিজ্য।কিন্তু পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ।এটাই মহারাজগঞ্জ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির “ট্র্যাডিশন”। দীর্ঘ বছর ধরে মহারাজগঞ্জ ফাঁড়িতে পোস্টিং নিয়ে আসা ওসিরা একই কায়দায় কাজ করছেন। ডান-বাম-রাম সব জামানাতেই মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশের রোজগার বেড়েছে উত্তরোত্তর। কিন্তু ফাঁড়ি এলাকার অপরাধ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেই পুলিশ কর্তাদের। এই কারণেই পুলিশ মহলে কৌতুক করে মহারাজগঞ্জ ফাঁড়িকে “বাণিজ্য ফাঁড়ি”বলে বলে থাকে।
মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকাতেই “সত্য নারায়ণ স্টোর” নামে একটি দোকান রয়েছে।সম্প্রতি এই দোকান থেকেই দিন দুপুরে চোর চক্রের পান্ডার তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চোর চক্রের “অপারেশনে”র বিষয়টি। দোকানের মালিক প্রদীপ সাহা সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি জানিয়েছেন মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশকে।করেছেন মামলা।তদন্তের সাহায্যের জন্য পুলিশকে দিয়েছেন দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফাঁড়ি পুলিশ চোর চক্রের পাণ্ডাদের টিকির নাগাল পায়নি।
মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ির অন্দর মহলের বক্তব্য, এখন পর্যন্ত পুলিশ এই বিষয় নিয়ে কোনো খোঁজ খবরই করেনি।দোকানের মালিকের করা মামলা মলিন কলাপাতার মতো পড়ে আছে ফাঁড়ির ওসি’র টেবিলে।অর্থাৎ পুলিশি ব্যর্থতার কারণে চোর চক্রের পান্ডার গৃহস্থ ও দোকানদারদের সর্বশান্ত করলেও পুলিশের কোনো হেলদোল নেই।
মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে একই দৃশ্য। ফাঁড়ির একাংশ পুলিশ কর্মীর বক্তব্য, রাত হলেই ফাঁড়ির কয়েকজন আধিকারিক ও কনস্টেবল মিলে ব্যারেকে বসে যায় ককটেল পার্টিতে। রাতভর চলে আসর। তার আগেই বেলা বিরাতেই ফাঁড়ির নির্দিষ্ট পুলিশ কর্মী ‘ডু’ দেন বিভিন্ন অবৈধ ঠেকে। আদায় করেন প্রতিদিনের কাঞ্চনমূল্য। এই ঠাসা কর্মসূচির মধ্যে ফাঁড়ি পুলিশ কিভাবে আমজনতার নিরাপত্তা দেবে।ফাঁড়ির ওসি থেকে কনস্টেবল প্রত্যেকের একই অবস্থা। প্রতিটি ঘটনার পর মানুষ মামলা দায়ের করেন থানায়।কিন্তু এরপর পুলিশের কোনো সাড়া শব্দ থাকে না।তারা মানুষের করা মামলার কাগজ রেখে দেয় “ককটেল পার্টির”টেবিলে। এই অভিযোগ ফাঁড়ির গর্ভগৃহের।
