
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮মে।।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা।পূর্তি হয়েছে ডা. মানিক সাহার মুখ্যমন্ত্রিত্বের এক বছর।২২- র ১৫মে ডা:মানিক সাহা প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে
শপথ গ্রহণ করেন ২৩- র ৮মার্চ।

ডা: মানিক সাহা দুই দফায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। একজন দন্ত চিকিৎসক থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে। বিজেপির রাজনীতিতে ছিলেন একজন পৃষ্ঠা প্রমুখ। সামলেছেন ইলেকশান সেলের দায়িত্ব।ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি। মাঝখানে রাজ্য সভার সাংসদ। ভারতীয় জনতা পার্টিতে মাত্র ছয় বছরের রাজনৈতিক সফরে ডা:মানিক সাহা পৌঁছে যান রাজ্য রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গে। তিনি হয়ে যান ত্রিপুরার সাংবিধানিক নৃপতি। সর্বজন বিধিত মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার শাসন কালের প্রথম এক বছরে কি পেয়েছে রাজ্যের মানুষ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ডা: মানিক সাহার এক বছরের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।

২০১৮ সালে বিপ্লব কুমার দেবকে সামনে রেখেই মোদী – অমিত শাহ ত্রিপুরা জয়ের ব্লু প্রিন্ট রচনা করেছিলেন।হয়েছে তাই।চূড়ান্ত সফল হয়েছিলেন মোদী – শাহ জুটি।প্রত্যাশিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। কিন্তু চার বছরের মাথায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিপ্লব কুমার দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরিয়ে দেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিপ্লব কুমার দেবের পরিবর্তে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডা: মানিক সাহার হাতে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার অর্পণ করেন। রাজনীতিকরা বলে থাকেন, ত্রিপুরার জন্য এটা নাকি মোদী – শাহের মাষ্টার স্ট্রোক ছিলো।

১৮ থেকে ২২- র মে পর্যন্ত “সন্ত্রাস”ছিলো বিজেপির রাজনীতির হাতিয়ার। সন্ত্রাসের ছিলো নানান প্রকার ভেদ। সন্ত্রাসের কেন্দ্রে ছিলো বাইক বাহিনী ও হেলমেট বাহিনী।জনমনে গ্রাস করেছিল গভীর আতঙ্ক। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন, বাইক বাহিনী, হেলমেট বাহিনীর সন্ত্রাস দিয়ে ক্ষমতায় ফেরা যাবে না। ২৩- র জয়ের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠ সংস্কৃতি। ভাঙতে হবে জনমনে থাকা আতঙ্কের বহরকে। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল স্বচ্ছ ভাব – মূর্তি সম্পন্ন ডা: মানিক সাহার হাতে।

রাজনীতিকরা বলছেন, ডা: মানিক সাহা তার এক বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় কালে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পুনরায় ক্ষমতায় এনে দিয়েছেন।করেছেন রক্তপাতহীন ভোট । রাজ্য রাজনীতি থেকে
মুক্তি দিয়েছেন সন্ত্রাসকে।কোমড় ভেঙ্গে দিয়েছেন
বাইক ও হেলমেট বাহিনীকে।এই দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম মানুষকে ভুলতে সাহায্য করেছেন।গত এক বছরে রাজ্যবাসীকে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর বড় উপহার।
লাগাম টানছেন গুন্ডা ট্যাক্সের উপর। অর্থাৎ ডা: মানিক সাহাই রাজ্যে ফিরিয়ে এনেছেন শান্তির পরিবেশ।

সাধারণ নাগরিকদের বক্তব্য, সরকার যতই উন্নয়ন মূলক কাজ করুক না কেন,শান্তি না থাকলে সবই বৃথা। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে এক বেলা কম খাবেন, কিন্তু শান্তিতে দিন কাটাতে চান। ডা: মানিক সাহা মাত্র এক বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে রাজ্যকে কিছু দিক বা না দিক,কিন্তু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ব্যতীত শান্তির পরিবেশ দিয়েছেন। স্বাধীনতা দিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকেও।এই এক বছরে বেশ কিছু সরকারী প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। প্রশাসনিক স্তরেও নিয়েছেন যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ মানিক জামানায় ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করা হয়েছে গেরুয়া সন্ত্রাসের সিম্বল বাইক বাহিনী ও হেলমেট বাহিনীকে।