।অভিযুক্ত মনীষ চক্রবর্তী।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১০জুলাই।।
                  স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এক অসহায় গৃহবধূকে অত্যাচার।দুষ্কৃতিদের হাতে নির্যাতিত মহিলার ১০বছরের কন্যা সন্তানও।অসহায় গৃহবধূর সোনার গয়নাও অর্থ লুটে নেয় দুষ্কৃতীরা।
  ঘটনা রাজধানীর  আড়ালিয়া ঘোষ পাড়াতে।
প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত আড়ালিয়া ঘোষ পাড়া। এলাকার বাসিন্দা সুজিত ঘোষ। শনিবার রাতে সুজিত বাড়িতে ছিলেন না।বাড়িতে একাই ছিলেন তার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা সাহা ও দশ বছরের কন্যা সন্তান। রাতের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে সুজিত ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করে একদল দুষ্কৃতি। এরা সবাই শাসক দল বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য।  প্রায় শতাধিক লোকজন রাতে হামলা করে বাসিন্দা সুজিত ঘোষের বাড়িতে। পূর্ব মহিলা থানায় এসে একথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা শর্মিষ্ঠা সাহা।


শনিবার রাতে আড়ালিয়া ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সুজিত ঘোষের বাড়িতে হামলার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এলাকার দাগী সমাজদ্রোহী তথা প্রতাপগড় মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি মনীষ চক্রবর্তী। তার নেতৃত্বে যুব মোর্চার শ -খানেক সদস্য হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সুজিত ঘোষের অসহায় স্ত্রী ও দশ বছরের কন্যা সন্তানের উপর মনীষের সঙ্গে ছিল দ্বীপতনু শর্মা, বিনয় দেবনাথ, কৃশালয় ঘোষ,দেবজিত সূত্রধর সহ আরো অনেকেই।এই পাঁচ দুষ্কৃতিকে সনাক্ত করতে পেরেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ শর্মিষ্ঠা সাহা।জানিয়েছেন তারই এক প্রতিবেশী মহিলা।
  কি কারণে সুজিত ঘোষের বাড়িতে হামলা তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রতিবেশীরা।ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সুজিত ঘোষ মাটির ব্যবসা করেন। এলাকায় ব্যবসা করতে গেলে যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি মনিশ চক্রবর্তীকে দিতে হবে “মাফিয়া ট্যাক্স”। ট্যাক্স এর পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। এই মাফিয়া ট্যাক্স দিতে পারলেই সুজিত এলাকায় কাজ করতে পারবে। এই হুলিয়া জারি করেছিল মনিশ চক্রবর্তী। ব্যবসায়ী সুজিত সমাজদ্রোহী তথা বিজেপি নেতা মনীশকে টাকা দিতে  রাজী নয়। আর তাতেই ক্ষমতার বলে বলীয়মান যুব মোর্চার সভাপতি মনীষ আক্রমণ করে সুজিত ঘোষের বাড়িতে।
যুব মোর্চার নেতা মনীষ চক্রবর্তী এই হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মহিলা মোর্চার নেত্রী। তিনি গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, একজন অসহায় মহিলাকে রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে  যুব মোর্চার নেতা মনীষ চক্রবর্তীর এই ঘটনা কেউ ভালো চোখে দেখছেন না।গোটা ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেছেন মহিলা মোর্চার এই নেত্রী।


তিনি গোটা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, একজন অসহায় মহিলাকে রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে  যুব মোর্চার নেতা মনীষ চক্রবর্তীর এই ঘটনা কেউ ভালো চোখে দেখছেন না।গোটা ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেছেন মহিলা মোর্চার এই নেত্রী।

।।নির্যাতিতা শর্মিষ্ঠা সাহা।।

অত্যাচারিত মহিলারা পূর্ব মহিলা থানায় আসার পর নাটক শুরু করে থানা কর্তৃপক্ষ। মহিলা থানার গেরুয়া বাড়ির পৃষ্ঠপোষক পুলিশ আধিকারিকরা মামলা নিতে টালবাহানা শুরু করে।মহিলাদের পূর্ব থানায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়। শেষ পর্যন্ত প্রমীলা বাহিনী পাল্টা চাপ দেয় মহিলা থানা কর্তৃপক্ষকে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নির্লজ্জের মত মামলা দায়ের করে মহিলা থানার পুলিশ।


পুর্ব মহিলা থানা পুলিশের উপর এক রাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী।এলাকার মহিলারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এখন বিচারের প্রার্থী।তারা যুব নেতা মনিশ চক্রবর্তীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছেন।এবং গোটা ঘটনাকে লজ্জাস্কর বলেও মন্তব্য করেছেন।
আড়ালিয়া ঘোষ পাড়ার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ চটে গিয়েছে। বিশেষ ভাবে মহিলারা। যেকোনো সময়ে মনীষ চক্রবর্তী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মহিলাদের হাতে গণধোলাই খেতে পারে বলেও আশঙ্কা  করছে স্থানীয় লোকজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *