ডেস্ক রিপোর্টার, ২১এপ্রিল।।
           বাধারঘাট বিধানসভায় বিজেপির সংসারে আগুন।ফুঁসছে খোদ বিজেপির কর্মীরা। ক্ষোভ বাড়ছে বিধায়িকা মীনা সরকারের উপর। কংগ্রেসী ভাই রাজ কুমার এখন ঘুরাছেন ছড়ি।ভাই-বোনের আপ্ত সহায়ক রতি দাস শুরু করেছেন তোলাবাজী।বক্তব্য বাধারঘাটের বিজেপি কর্মীদের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের পোস্ট।

বাধারঘাটের সরকার বাড়ির হাতেই এখন বিধানসভা কেন্দ্রের ব্যাটন। তারা এখনো ধরে রেখেছে প্রয়াত বিধায়ক দিলীপ সরকারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য। ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে সরকার বাড়ির মেয়ে মীনাকে প্রার্থী করেছিলো বিজেপি।প্রত্যাশিত ভাবে মীনা সরকার জয়ী হন নির্বাচনে।এবং হন বিধায়িকা।
ভোটের সময় সরকার বাড়িতেই ঘটেছিলো রাজনীতির নতুন মেরুকরণ।


তার কান্ডারী  প্রয়াত বিধায়ক দিলীপ সরকারের ভাই রাজ কুমার সরকার।তিনি বিজেপি থেকে টিকিট না পেয়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেস থেকে তার টিকিট নিশ্চিত ছিলো।কিন্তু বাম – কংগ্রেসের জোট রাজনীতির কারণে রাজ কুমারের ললাটে নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ হয় নি।


বিধানসভা নির্বাচনের সময় মজলিশপুরে রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে আক্রমণের জন্য রাজকুমার বাধারঘাট থেকে একশ মোটর বাইক পাঠিয়েছিলেন। বাইকগুলি  লাইন ধরে সারি বদ্ধ ভাবে সরকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।


ফ্ল্যাগ অফ করেছিলেন খোদ রাজ কুমার।তখন সামনেই দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই দৃশ্য উপভোগ করেছিলেন বোন তথা বর্তমান বিজেপির বিধায়িকা মীনা সরকার। তখন ভাই -বোনের  এই সুন্দর ক্যামেস্ট্রি দেখে সন্দেহের দানা বেঁধে ছিলো এলাকার লোকজনের। বাধারঘাট অঞ্চলে কান পাতলেই শুনা যায় ভাই- বোনের এই সমস্ত নানান উপাখ্যান।


নির্বাচন সাঙ্গ হতেই রাজ কুমার তার ছলম পাল্টে ফেলেন।তিনি বোনের আঁচলে ধরে বিজেপিতে গা ভাসিয়ে দেন। ব্যাস! কেল্লা ফতে।এখন বিধায়িকা বোন মীনার মূল উপদেষ্টা দাদা রাজকুমার। দাদার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনেই প্রতিটি পদক্ষেপ দিচ্ছেন বোন মীনা।


দাদা – বোনের এই রাজনৈতিক রসায়নে ক্ষুব্ধ খোদ বাধারঘাট বিজেপির নেতা – কর্মীরা। তাদের ক্ষোভের কারণও স্বাভাবিক।নির্বাচনের সময় রাজকুমার কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছিলেন।রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে হামলার জন্য লোক পাঠিয়ে ছিলেন রাজ কুমার।আর এখন নাকি এই রাজকুমারই বকলমে বাধারঘাটের হর্তাকর্তা বিধাতা।বলছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা- কর্মীরা।


বিধায়িকা মীনা সরকার ও রাজকুমার সরকারের আপ্ত সহায়ক রতি রায়। সে সরকার বাড়ীর ঘোষিত সদস্য না হলেও সদস্যদের থেকে কোনো অংশে কম নয়। অভিযোগ,বিজেপি সরকার গঠন করতেই রতি তোলা বাজিতে নেমে যায়। জমির দালালী থেকে শুরু করে নিগোসিয়েশন কারবার। ঠিকাদারদের থেকে অর্থ সংগ্রহ। ঘুরিয়ে বললে, বাধারঘাটের সমস্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলি থেকে প্রানামি তুলছেন রতি।


তার পেছনে রয়েছে রাজকুমারের বিশ্বস্ত হাত। অভিযোগ,সবার উপর মানুষ সত্যের মত দাড়িয়ে আছেন খোদ বিধায়িকা মীনা সরকার। বাধারঘাটের বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সঙ্গে রাজকুমার – রতিরা কিভাবে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে গিয়েছেন তার বহু হাড় হিম করা তথ্য রয়েছে ” জনতার মশাল”র কাছে। যথা সময়ে করা হবে ফাঁস। উন্মোচন হবে ভেকদারীদের মুখ ও মুখোশ।
           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *