ডেস্ক রিপোর্টার,২৭সেপ্টেম্বর।।
রাজ্য রাজনীতির যুযুধান তিন শক্তি বিজেপি,সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দল বিজেপি’র অভিযোগ, ভোটের বাজার ধরতে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস যৌথ ভাবে “বিজেপি সরকারে”র বদনাম করছে।রাজনীতির ধূসর গোধূলি বেলায় এসে পৌঁছেছে সিপিআইএম ও তৃণমূল।তাই দিশাহীন হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল ও সিপিআইএম নেতৃত্ব দাবি বিজেপি’র।
সম্প্রতি টিসিএস অফিসারদের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলে নিয়মের বাইরে গিয়েও করা যায়।যারা নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেন মানুষ তাদেরকেই মনে রাখে।” নানান প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এখন দেশের অর্থমন্ত্রী রেল বাজেট পেশ করেছেন।বিগত কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় বাজেট ও রেল বাজেট পৃথক ভাবে পেশ হতো। কেউ কখনো ভাবতে পারিনি কেন্দ্রীয় বাজেট ও রেল বাজেট এক সঙ্গে পেশ হবে। তাতে কি ভারতের রেল চলাচল আটকে গেছে?প্রশ্ন তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। টিসিএস অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রী বুঝানোর চেষ্টা করেছেন সব কিছু নিয়মের ফাইলে বাঁধা থাকতে পারেনা।মানব কল্যাণের জন্য কখনো কখনো নিয়মের বাঁধা ফাইল খুলে দিতে হয়। ” তার জন্য যদি আমার জেলে যেতে হয়, তাতেও কোনো আপত্তি নেই”—–উপস্থিত টিসিএস অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের এই বক্তব্যকে বিকৃত করে মানুষের সামনে তুলে ধরছে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। প্রদেশ বিজেপি’র মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, “ত্রিপুরাতে রাজনীতির বাজারে হালে পানি পাচ্ছে না সিপিআইএম ও তৃণমূল।মাঠ গরম করতেই দুই দল কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে।”
সিপিআইএম নেতৃত্বের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে সরব হন। কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দেশের গণতন্ত্র মানছেন না।বিচার ব্যাবস্থা কেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা গ্রহন করবে না? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত টুইটও করেন। টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি সঞ্জয় মিশ্র। পাল্টা টুইটে সঞ্জয় মিশ্র অভিষেকের উদ্দেশ্যে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে ভালো করে শুনে নিন।আপনার রাজনৈতিক গুরু সিপিআইএম থেকে যা শিখেছেন,আপনি তাই বলছেন। সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আপনার কতটা সম্মান আছে,আমরা সবাই তা জানি।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্য রাজনীতির ময়দান গরম করতে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ও সিপিআইএমকে পাল্টা ঘয়েল করতে মাঠে নেমেছে বিজেপি।দুইপক্ষের জবরদস্ত আক্রমণ,পাল্টা আক্রমণ চলছে সোস্যাল মিডিয়ায়।সব মিলিয়ে উৎসবের মরশুমকে টেক্কা দিচ্ছে রাজনীতির উত্তাপ।
