মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২২জুন।।
   অবসান হলো দীর্ঘ জল্পনার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার থেকে বিপ্লব কুমার দেব যা করতে পারলেন না, তা করতে পারলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। আবারও রাখলেন রাজনৈতিক সৌজন্যতা ও মানবিকতার ছাপ।রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিংহের সহধর্মিনী লক্ষ্মী সিংহকে  রাজ্যে বসবাসের জন্য সরকারি আবাসন দেওয়ার কথা ঘোষনা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংহ ও তাঁর সহধর্মিনী।

সম্প্রতি এক চিঠিতে রাজ্যে বসবাসের জন্য একটি আবাসন চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিংহের সহধর্মিনী লক্ষ্মী সিংহ।  ৯২ বছর বয়স্কা লক্ষ্মী সিংহের এই আবেদনটি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আসে এবং তিনি বিষয়টিকে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করেন।


বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰয়াত শচীন্দ্র লাল সিংহের অবদানকে স্মরণ করে বিস্তৃত আলোচনা হয় এবং তাঁর সহধর্মিণীর আবেদন অনুসারে আগরতলায় একটি টাইপ-ফোর সরকারি আবাসন বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লক্ষ্মী সিংহ এই সুবিধা সারাজীবন ভোগ করতে পারবেন। বর্তমানে তিনি হরিয়ানার ফরিদাবাদে বসবাস করছেন।


আধুনিক ত্রিপুরা গড়ে তুলতে প্রয়াত শচীন্দ্র লাল সিংহের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৬৩ সালের ১লা জুলাই থেকে ১৯৭১ সালের ১লা নভেম্বর পর্যন্ত শচীন্দ্র লাল সিংহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভার আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে মরণোত্তর “ফ্রেন্ডস অব লিবারেশান ওয়ার’ সম্মানে ভূষিত করে। ২০০০ সালের ৯ই ডিসেম্বর নয়াদিল্লীতে শচীন্দ্র লাল সিংহ প্রয়াত হন। তাঁর সহধর্মিনী লক্ষ্মী সিংহের আগরতলায় কোনো নিজস্ব বাড়ি নেই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পত্নীকে এই ধরনের সুবিধা প্রদান রাজ্যে ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *