ডেস্ক রিপোর্টার,২রা মে।।
“শহরের মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী বিদিশার ছোড়া প্রশ্ন বানে বিদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।”
মহিলা মহা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মত বিনিময় অনুষ্ঠানকে ঠিক এই ভাষায় ব্যাখ্যা করছেন বিরোধী দলগুলোর নেতৃত্ব সহ একাংশ লোকজন।
নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ জানাতে হবে কলেজ ছাত্রী বিদিশাকে। অনেক ছাত্রীর মনেই হয়তো বা নানান প্রশ্ন ছিলো।কিন্তু কেউ সাহস করে বিতর্কিত প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীকে করেননি। বিদিশা এক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যতিক্রম। পাছে লোকে কিছু বলবে কিনা, তা না ভেবেই সাহস করে মুখ্যমন্ত্রীকে একেবারে সোজা-সাপটা প্রশ্ন করেছে কলেজ ছাত্রী বিদিশা।

আর তাতেই হৈ হৈ রোল শুরু হয়ে যায়। যেনো সব শেষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। তার পেছনের সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য অবশ্যই তাড়া করেছিলো রাজনৈতিক ভূত। রাজ্যের সবকটি বিরোধী দল যখন কলেজ ছাত্রী বিদিশা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাসক দল বিজেপি সহ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে তুলোধুনো করতে ব্যস্ত, তখনই হাতে ব্যাটন নিয়ে বিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি’র সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিত।

শাসক দলের রাজ্য নেতা অমিত রক্ষিত তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন,”
এই রাজ্যে অতীতে আমরা শিক্ষার আঙিনায় রাজনৈতিক আস্ফালন প্রত্যক্ষ করেছি ।বাক-স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল বলে জানা ছিলনা , শুধু এতো টুকুই জানতাম সরকার বিরোধী কিছু বললে স্কুল-কলেজ যাওয়া বন্ধ হবে । ছাত্র সংসদ নির্বাচন মানে নির্বিচারে মারধরের একটা বাৎসরিক উৎসব আর বিরোধী বিচারধারা নিয়ে মতাধিকার প্রয়োগ মানে অপরাধ ।
বর্তমান সরকারের ভালো মন্দ অনেক দিক থাকতে পারে কিন্তু যে মেয়েটি নির্ভয়ে মহা বিদ্যালয়ে আশা যাওয়া করে , এবং গত ৪ বছরে এতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছে যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ও তার মনে জন্ম নেওয়া ধারণা থেকে সরাসরি প্রশ্ন করা যেতে পারে তা কিন্তু গণতন্ত্রের জয় নিশ্চিত করে ।
রাজ্যের রাজনৈতিক বাচিক শিল্পীরা অনেক কিছু বলবেন চুলো জ্বালিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু সৃজনশীল মানুষরা আরেকবার আশ্বস্ত হবেন যে ভোটটা ঠিক জাগায় গেছে ।”
রাজ্য বিজেপি’র সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিত বুঝাতে চেয়েছেন, অতীতে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন গুলিতে বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিলো না। ছিলো শুধু নোংরা রাজনীতির আস্ফালন। সরকারের ভাল-মন্দ নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস দেখাতে পারতোনা কেউ। আর সাহস করে কিছু বললেই বন্ধ হয়ে যেতো স্কুল-কলেজের দরজা।

মনে জন্ম নেওয়া প্রশ্ন নির্দ্বিধায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে পেরেছে কলেজ ছাত্রী বিদিশা। আর এতেই রাজ্যে অবাধ গণতন্ত্রের বিষয়টি প্রকট হয়েছে। অমিতের ব্যাখ্যা, কলেজ ছাত্রী বিদিশার এই প্রশ্ন পর্বের মধ্যদিয়ে প্রমান হয়ে গেলো রাজ্যে গণতন্ত্রের জয়-জয়কার। চুপসে গেছে বিরোধীদের মুখও। “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই” বলে বিরোধীরা যে চিকিৎকার-চেঁচামেচি করছে তা যে ভুল এটাই প্রমান করলো বিদিশা।
শহরের ওমেন্স কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় বিদিশার প্রশ্নের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কলেজ ছাত্রী বিদিশাকে “মা” বলেই সম্বোধন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বিনয়ী ভাব মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক কারবারীদের।বলছেন রাজনীতিকরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আক্ষরিক অর্থে মুখ্যমন্ত্রী ও বিদিশার প্রশ্ন-উত্তর পর্বে জয় হয়েছে গণতন্ত্রের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *