
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
” স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তী বীরও কে নাম ” — এই অনুষ্ঠান সাব্রুমে
উদ্বোধন করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাঁচলেন বিপদের হাত থেকে।ঘটতে পারতো প্রাণ হানি। মাত্র এক পক্ষ কালের মধ্যেই কুমারঘাটের প্রতি ছবি মানুষ দেখতে পারতো সাব্রুমে। খোদ ঈশ্বর সহায় থাকতে বেচে যান মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা। সাব্রুম কাণ্ডের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ ও আশপাশ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হওয়ার পেছনে দায়ী কারা?

মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থাকলে নিশ্চিত ভাবে ব্যবস্থা থাকে হাই সিকিউরিটি। পাশাপশি আনুসঙ্গিক বিষয় গুলিও খতিয়ে দেখা হয়।তার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট লোকজন। সতর্ক থাকে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও। তারপরও এরকম ঘটনা কেন? সাব্রুম মঞ্চে এতো অব্যবস্থা কেন ছিলো? কার নির্দেশে ছন্নহীন ছিলো সরকারী গোটা অনুষ্ঠান? এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা আবশ্যক বলেই মনে করছে বিজেপির কর্মীরা।

সাব্রুম কাণ্ডের পেছনে বিজেপির কর্মীরা এক গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান মানেই সব কিছু থাকবে আপ টু দ্যা মার্ক। কিন্তু শঙ্কর রায়ের খাস তালুকে কেন এমনটা হবে? গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ জেলার সভাপতি শঙ্কর রায়। তার ইচ্ছাতেই নাকি এই জায়গাতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। প্রদেশ বিজেপি ও জেলা নেতৃত্ব অনেকেই এই জায়গাতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান করতে রাজি ছিল না।কিন্তু শঙ্কর রায় ছিলো নাছুর বাধা।

বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনার স্ক্রিপ্ট আগেই রচনা হয়েছিল।কারণ শঙ্কর রায় নিজেও মুখ্যমন্ত্রীর লবির নন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও দুর্নীতিবাজ শঙ্করকে পছন্দ করেন না। এটা ভালো করেই জানেন শঙ্কর রায়।আগামী দিনে শঙ্কর জেলা কমিটির সভাপতি থাকবেন কিনা এটাও বলা কঠিন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে আর এই পদে রাখতে চাইছেন না।এই সমস্ত কারণে বিজেপির কর্মীদের আঙ্গুল এখন শঙ্কর রায়ের দিকে। তাই শঙ্কর রায়ের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছে কর্মীরা। তাই সাব্রুম কাণ্ডকে একটা নিছক দূর্ঘটনা না বলে গভীর ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন কর্মীরা।