ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০ নভেম্বর।।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দিল্লির যন্তর-মন্তরে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে এক মঞ্চের আইপিএফটি ও তিপ্রামথা।মঙ্গলবার সকাল থেকেই যন্তরমন্তরে ধর্ণায় বসে রাজ্যের জনজাতি ভিত্তিক এই দুই রাজনৈতিক দল।তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিপ্রামথা ও আইপিএফটি’র নেতা-কর্মী-সমর্থকরা সোমবার বিকালে পৌঁছায় দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকাল থেকে যন্তর মন্তরে শুরু হয় তাদের ধর্ণা আন্দোলন।গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে তিপ্রা-আইপিএফটি যৌথভাবে আন্দোলন শুরু করে। তিপ্রা-আইপিএফটি’র এই ধর্ণায় দুই দলের মোট পনেরশো কর্মী-সমর্থক অংশ নেয়।
দিল্লির যন্তর-মন্তরে আন্দোলনস্থলে দাঁড়িয়ে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন বলেন, তারা কখনো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি থেকে পিছু হবেনা। তিপ্রামথার এই দাবি যুক্তিসঙ্গত।এখন তাদের সঙ্গে একই দাবির ভিত্তিতে যুক্ত হয়েছে আইপিএফটি।আইপিএফটিও তিপ্রাল্যান্ডের দাবি তুলেছিলো আগেই।এই মুহূর্তে দুই রাজনৈতিক দল একত্রে আন্দোলনের সালতে পাকিয়েছে। প্রদ্যুত কিশোর বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সত্তর বছর পরও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন কোনো সরকার অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে পারেনি। এই আন্দোলনের মথার পক্ষ থেকে দলের সভাপতি বিজয় কুমার রাংখলও উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের শাসক জোট আইপিএফটি’র পক্ষ থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জামাতিয়া,মুখপাত্র মঙ্গল দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন আগামী দিনে কি আইপিএফটিও মিশে যাবে তিপ্রামথার সঙ্গে? কেননা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের পক্ষে নেই বিজেপি।কিন্তু বিজেপি’র শরিক গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করে দিল্লিতে এক সঙ্গে ধর্ণায় যোগ দিয়েছে। তিপ্রার অন্দর মহলের খবর, ২৩-র মহারণকে সামনে রেখে তিপ্রামথার সঙ্গে মিশে যেতে পারে আইপিএফটি।সব মিলিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে সৃষ্টি হতে চলেছে আরো এক নয়া সমীকরণের,বলছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *