
ডেস্ক রিপোর্টার,৫মার্চ।।
পাহাড়ের শাসক দল তিপ্রামথার কর্মীদের আসফালনে দিশেহারা এডিসি এলাকার বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ ।এডিসি অঞ্চলের বহু জায়গায় মথারকর্মী সমর্থকরা বিজেপির লোকজনকে আক্রমণের নামে বাঙ্গালীদের উপর হামলা-হজ্জতি শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এডিসিতে বসবাসকারী বাঙালিরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে। যদিও পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
গণনার পর পরই মথার কর্মী সমর্থকরা এডিসি অঞ্চলের বাঙ্গালীদের টার্গেট করে আক্রমণ শুরু করেছে। এডিসির অন্তর্ভুক্ত যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে তিপ্রামথা পরাজিত হয়েছে, সেগুলিতেও আক্রমণের স্টিমরুল বাড়িয়ে দিয়েছে। মথার কর্মীদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাঙালীরা তাদের প্রার্থীকে ভোট দেয়নি।তারা ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। এই কারণেই বিজেপি সমর্থিত বাঙালিদের উপর মথার কর্মীদের রুদ্র রোষ আছড়ে পড়েছে।

চড়িলাম, টাকারজলা, জম্পুই জলা, বিশ্রামগঞ্জ লাল সিং মুড়া সহ জিরানিয়া, মান্দাই, রানীর বাজার, মোহনপুর, খোয়াই,কল্যাণপুর অঞ্চলের মানুষের বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে। বহু মানুষ ভয়ে বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে মথার কর্মীরা হামলা হুজ্জুতি করে। পথ চলতি নাগরিকদের করা হয় মারধর। মথার কর্মীদের ভয়ে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো জঙ্গলে। রাত ভর মানুষ জঙ্গলে থাকার পর সকালে বাড়িতে আসে। অনেকে ভয়ে তাদের সন্তান সন্তিদের সরিয়ে নিয়ে যায় বাড়ি থেকে।এই অবস্থায় যে কোনো সময় পরিস্থিতি অন্য দিকে মুড় নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনীতিকরা।

রাজ্যের এই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে একটি অশুভ চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তারা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। মুহূর্তে মুহূর্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নানান গুজব।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। গুজবে কান না দিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনো ঘটনার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। তবে এটা বাস্তব, রাজ্য জুড়ে মথার কর্মীরা হামলা হুজ্জুতি চালালেও তা নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর। প্রদ্যুৎ কিশোরের এই নীরবতা সাধারণ মানুষের কাছে সন্দেহ জনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।