ডেস্ক রিপোর্টার,২রা জানুয়ারি।।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের মধ্য দিয়ে রাজ্যে বেজে উঠলো ২৩-র মহারণের দামামা।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার দুপুরে পৌঁছান আগরতলায়। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান।এদিন তিনি এমবিবি বিমান বন্দর থেকে সরাসরি চলে যান খয়েরপুর চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে।সেখানে গিয়ে তিনি চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পূজো দেন।
চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাতে বিজেপিকে কুড়ি শতাংশ ভোট পেতে পনেরো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।কিন্তু মাত্র তিন মাসে ত্রিপুরাতে পুর ভোটে ২৩ শতাংশের অধিক ভোট পেয়েছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। এই পরিসংখ্যান বিপ্লব দেবের শেষের শুরু।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে।তিনি বলেন, ২০২৩ সালের রাজ্য নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তৃণমূলের কাছে এক বছর সময় আছে। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের গুন্ডা শাসনের মডেল আর কাজ না করে।
অভিষেকের বক্তব্য, রাজ্যে নেই উপযুক্ত হাসপাতাল, নেই কলেজ, নেই উপযুক্ত রাস্তা।
উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,বাংলায় দিদির ১০ বছরের শাসনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাত বছরের শাসনের তুলনা করলেই পার্থক্য স্পস্ট হয়ে যায়। প্রয়োজনে তিনি বাংলা উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড দেখিয়েও চ্যালেঞ্জ জানতেও প্রস্তুত।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাংলা থেকে গোয়া হয়ে ত্রিপুরা, সব জায়গায় তৃণমূল মাঠে-ময়দানে সক্রিয়। ত্রিপুরায় স্বৈরাচারী শাসন আর বেশিদিন চলবে না। রাজ্যের মানুষ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে তার প্রতিফলন ঘটাবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পূজো শেষ করে চলে যান তেলিয়ামুড়াতে।সেখানে দলীয় এক কর্মী বাড়িতে দুপুরের খাবার শেষ করে তিনি কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন।
