
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩ডিসেম্বর।।
২৪- র ভোটের মুখে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর “কল্যাণপুর গণহত্যাকে” রাজনীতির মোড়কে ফেলে বাজিমাত ভারতীয় জনতা পার্টির।আঘাত করলো বাঙালির ভাবাবেগে। তবে ব্যর্থ এক সময়ে জনজাতি তোষণের রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকা বামেরা।
৯৬- র এমন দিনেই স্বাধীন রাজ্যের ফেরিওয়ালা রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এটিটিএফের তপ্ত বুলেটে একে একে ঝরে ছিলো ২৬টি তাজা প্রান। দীর্ঘ বাম জামানায় কল্যাণপুর গণহত্যাকে কোনো গুরুত্ব দেয় নি বামেরা। অথচ গনহত্যার এতো বছর পর ২৪- র ভোটের মুখে ভারতীয় জনতা পার্টি সজোরে আঘাত করেছে বাঙালি ভাবাবেগে। মঙ্গলবার ছিলো কল্যানপুরের গণহত্যার ২৫ বছর। এদিন কল্যাণপুরের সোনার তরী মুক্ত মঞ্চের বিশাল জনসভা করে শহীদদের প্রতি সন্মান জানিয়েছে ভাজপা নেতৃত্ব।

এদিন মুক্ত মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন, “ভয় পাওয়ার কোন কিছু নেই, চিন্তা করার কোন কিছু নেই, কারণ গোটা দেশের সাথে সাথে গোটা রাজ্যের সঙ্গে কল্যাণপুরেও এখন মোদি গ্যারান্টি কাজ করছে।” বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বিরোধী দল তিপ্রামথা ক্ষনে ক্ষনেই পৃথক্ রাজ্যের দাবি তুলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। গোটা রাজ্যে চলছে হিসহিস।তৈরি হচ্ছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ। আতঙ্ক গ্রাস করছে অনুপজাতি অংশের লোকজনের মধ্যে। মথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর কখনো রাজ্য সরকার, আবার কখনো কেন্দ্রীয় সরকারকে নানান কৌশলে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন। ঠিক এই পরিস্থিতিতে “ভয় পাওয়ার কিছুই নেই,চিন্তার কিছুই নেই”, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রদ্যুৎ কিশোরের অপ চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনীতিকরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তিপ্রামথার এই ধরনের আস্ফালনে মেনে নিচ্ছেন না। তার প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দিয়েছিলেন, অতি সম্প্রতি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে গোটা রাজ্যে প্রদ্যুৎ তার লোকজনকে দিয়ে ঝামেলার পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জল বেশী দূর গড়ায় নি।দিল্লির কথাকে মান্যতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত গিয়েছিলেন রাজ অন্দরে। তবে এটা ছিল তার মনের বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা কল্যাণপুর মুক্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে বকলমে অভয় দিয়েছেন রাজ্যের বাঙালি সমাজকে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছন, তিপ্রামথা যাই বলুক না কেন, আক্ষরিক অর্থে বিজেপি। এমন কোনো কাজ করবে না,যেখানে বাঙালির স্বার্থে আঘাত লাগবে। এই রাজ্যে বাঙালিরা থাকতে পারেন নিশ্চিন্তে। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে অবশ্যই বুকে বল বাড়বে এই রাজ্যের বাঙালি সমাজের।

তবে কল্যানপুর গণহত্যার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে চাপে বামপন্থীরা।কারণ এই মান্দাই,কল্যাণপুর, টাকারজলার গণহত্যা গুলিকে কাজে লাগিয়ে বামেরা বাঙালির ভোট ব্যাংকে আঘাত করতে পারে নি,এতদিন। ২৪- র মুখেও তারা ব্যর্থ!বলছেন রাজনীতিকরা।