ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ এপ্রিল।।
“প্রকৃতির সৌন্দর্য আলিঙ্গনে আবিষ্ট অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জম্পুই। পাহাড়ের গা ঘেঁষে, মেঘের লুকোচুরি খেলা।পূবে উদিত প্রথম সূর্য কিরণ, মনোরম দৃশ্য তৃপ্তির স্বাদ আস্বাদন পর্যটকদের চাহিদাকে বাহুল বাড়িয়ে তুলেছে এই অনন্য ভূমি। অত্যাধুনিক মানের বিনোদনমূলক পর্যটন পরিষেবা সংযোজন সহ গুচ্ছ পরিকল্পনা সফল রূপায়িত হচ্ছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ঊর্ধমুখী পরিসংখ্যান, রাজ্যের পরিচিতিকে সর্বত্র মেলে ধরার পাশাপাশি, আর্থিক সমৃদ্ধির পথকেও মসৃণ করছে।”—বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বৃহস্পতিবার তিনি গিয়েছিলেন রাজ্যের ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর-তথা জম্পুই পাহাড়ে। সেখানে গিয়েই জম্পুই পাহাড় সম্পর্কে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।.

জম্পুই সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, প্রকৃতির আশীর্বাদ ধন্য অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জম্পুই পাহাড়। যেন, সবুজে ঘেরা, সুদৃশ্য পাহাড় ও মেঘের যুগলবন্দিতে সজ্জিত এক মনোরম ক্যানভাস । ভ্রমন তেষ্টা মেটানোর কেন্দ্র হিসেবে জম্পুই এক অনন্য ক্ষেত্র ।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লাভার্থী, জীবন অভিজ্ঞতায় মহিরুহ সম উত্তর জেলার ভাঙমুনের অশীতিপর বৃদ্ধা।তিনি সামাজিক ভাতার দ্বিগুন অর্থরাশির পদক্ষেপ ও পি এম এ ওয়াই-র অন্তর্গত আবাস প্রাপ্তিতে সরকারের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সরকারকে জন কল্যাণে আরও উজ্জীবিত করবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।

বিজেপি সরকার সমস্ত সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে, রাজ্যব্যাপী বড় মাত্রায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সফল ভাবে বাস্তবায়িত করেছে। বৃহস্পতিবার ভাঙমুনে গিয়ে নির্মিয়মান আবাসের কাজ পরিদর্শন করে একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যে তৈরি হওয়া স্বনির্ভর মানসিকতা ও সরকার প্রদত্ত গুচ্ছ প্রকল্পের সহায়তায় উপার্জনের নিশ্চিত দিশা পেয়ে হাসি ফুটেছে জম্পুইয়ের অনেকের মুখেই। আরকেভিওয়াই প্রকল্পে শুকর ছানা পেয়ে, এর থেকে বর্তমানে লাভজনক বড় মাপের শুকরের খামার তৈরি করেছেন উত্তর জেলার ভাঙমুনের লালরোপুইয়া ।ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি স্বচ্ছল ভাবে সংসার প্রতিপালনের দিশা খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু ভাবি উদ্যোক্তাদের কাছে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা ।লালরোপুইয়াকে নিয়ে এই উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।জ্ম্পুই সফরে গিয়ে লালরোপুইয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে খামারটি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।এবং কথা বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিন জম্পুই সফরে আচমকাই চোঁখে পড়ে ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ পারকীয়া স্পেসিওসা গাছের অংশ। স্থানীয়ভাবে “রংটা বা ইয়ংচাক” নামে পরিচিত হলেও বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষের কাছে এর পরিচিতি ভিন্ন । মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনার অন্তর্গত, বন দপ্তর দ্বারা, স্পেসিওসা গাছের চারা বণ্টন হয়ে আসছে ।

ভাঙমুন সহ বিভিন্ন অংশের, বিশেষ করে মহিলারা গাছ থেকে এইগুলি সংগ্রহ করে বিক্রি করেন।কাঁচা অবস্থায় এর বাহ্যিক অংশ ছাড়িয়ে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পরিপক্ক কালসিটে অবস্থায় খোলস ছাড়িয়ে বীজ গুলির খাদ্য হিসেবে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে।

জম্পুই সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।তিনি সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা প্রত্যেকের সঙ্গেই পৃথক পৃথক ভাবে কথা বলেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। তিনি গিয়েছিলেন টুরিস্ট লজ “ইডেনে”। লজে উপস্থিত পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।