ডেস্ক রিপোর্টার,২৬মে।।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ক্ষমতায় বসেই নেশা কারবারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। পুলিশ এখনো প্রতিদিন নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় সারা রাজ্যে পুলিশ নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও মোহনপুর মহকুমা নিয়ে নিশ্চুপ। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা রাজ্যের মোট উৎপাদিত গাঁজার ৩৫শতাংশ চাষ হয় মোহনপুরে। কিন্তু মোহনপরে নেশা বিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্য শূন্যের কোটায়। মোহনপুরে নেশা বিরোধী অভিযানের ক্ষেত্রে পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
মোহনপুর মহকুমা বরাবর গাঁজা, ফেন্সিডিল, নেশা জাতীয় ট্যাবলেটের বাণিজ্য ভূমি। মোহনপুরের বুক চিরে আছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। গোটা মোহনপুরে সীমান্ত অপরাধের সংখ্যাও বেশি। এইসব তথ্য নতুন করে বলার কিছু নেই। মোহনপুরে বছরের পর বছর এই ট্র্যাডিশন চলে আসছে।
রাজ্য পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে মোহনপুর থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধারের কোনো খবর নেই। অথচ মোহনপুরে দুনের পর দুন জমিতে গাঁজা চাষ হচ্ছে। মোহনপুরে মজুত হচ্ছে নেশা জাতীয় কফ সিরাফ ও ট্যাবলেট।এগুলি পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। গোটা চক্রের সঙ্গে জড়িত পুলিশ-বিএসএফ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। অর্থাৎ মোহনপুরে ত্রিবেনি সঙ্গমে চলছেন রমরমা নেশা কারবার।
গত বছর খানেক আগে মোহনপুরের বাসিন্দা মহিলা পুলিশ কনস্টেবল গায়েত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিল।সঙ্গে গায়েত্রীর নাগর তথা নেশা কারবারী প্রসেনজিৎ। গায়েত্রী ও প্রসেনজিৎ উভয়ে যৌথ ভাবে নেশা কারবারে জড়িত ছিলো।গায়েত্রীর দায়িত্ব ছিলো পুলিশ ম্যানেজ করা। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের খবর অনুযায়ী, গোটা মোহনপুরে নেশা কারবারের বড় রেকেট কাজ করছে।কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ নেশা কারবারের চাইদের গ্রেফতার করেছে না।
মোহনপুর থানা সহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পুলিশ ফাঁড়ি গুলিতে কর্মরত পুলিশ কর্মীরা নেশা কারবারীদের বকলমে সেভ গার্ড দিয়ে রাখে।বিনিময়ে মাসান্তে মোটা অঙ্কের কাঞ্চনমূল্য পেয়ে থাকে পুলিশ কর্তারা। রাজ্য পুলিশের নারকোটিসক বিভাগও মোহনপুর নিয়ে মুখে কুলুপ এটে রেখেছে। তাদের কোনো অভিযান নেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে।অথচ প্রতিদিন মোহনপুর থেকে গাঁজার বড় বড় চালান যাচ্ছে বহিরাজ্যে।আবার বহিঃ রাজ্য থেকে মোহনপুরে আসছে নেশা জাতীয় কফ সিরাফ ও নেশা ট্যাবলেট।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, পুরো ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজনীতি। স্থানীয় রাঘব বোয়াল থেকে চিনেপুটি নেতা সবাই নেশা কারবার থেকে পেয়ে থাকে টু-পাইস। এই কারণেই গোটা অরক্ষা প্রশাসনকে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকতে হয়। আর বিনিময়ে চুটিয়ে নেশার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কারবারীরা।
