
ডেস্ক রিপোর্টার, ১১জুলাই।।
রাজ্যে ফের চোখ রাঙ্গাচ্ছে করোনা ভাইরাস। মাত্র দুই দিনে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬জন। করোনা সংক্রমণের এই গ্রাফ নিশ্চিতভাবে ভাজ পড়ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ললাটে। এই মুহূর্তে রাজধানীর খয়েরপুররে চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে চলছে খারচি মেলা। স্বাভাবিকভাবেই এই মেলা কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতনতার নির্দেশ দিলেও সর্বাংশে তা মান্যতা পাচ্ছে না। তার জন্য অবশ্যই আমজনতার খামখেয়ালিপনা অনেকাংশেই দায়ী।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুনভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ জন।তার মধ্যে পশ্চিম জেলায় ২৪ জন।সিপাহীজলা জেলায় ৮ জন ও গোমতী জেলায় ৪জন। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে মোট পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা ৫৫১। সংক্রমণের হার ৬.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমনের এই উর্ধ্বগতি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, সুস্থতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুব কম। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র দুইজন। শনিবারে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩২জন।

হঠাৎ করে কেন রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে? স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, শুধু ত্রিপুরাতেই নয়,এই মুহূর্তে গোটা দেশে সংক্রমণের গ্রাফ বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমা থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। তবে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে খুব বেশি সময় লাগবে না পরিস্থিতি বেগতিক হতে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, করোনার এই চতুর্থ ঢেউ রাজ্যেও ক্রমশ প্রবল হচ্ছে। করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে নানা রকম উপসর্গ দেখা দিচ্ছে রোগীদের শরীরে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর দাবি, চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রাজ্য। থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে দপ্তরের হাতে তাই সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হওয়ার কোন বিষয় নেই। এই ক্ষেত্রে মানুষকে করোনার সমস্ত বিধি নিষেধকে মান্যতা দিতে হবে।তাহলেই করোনা চতুর্থ ঢেউয়ের আস্ফালন আটকানো যাবে।