ডেস্ক রিপোর্টার,১সেপ্টেম্বর।।
” ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে প্রবল ঝড় বইছে। গেরুয়া শিবিরে তেমন কোনো ঝড় নেই।তারা পাচ্ছে বিপদের গন্ধ।”—-বক্তা বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার তিনি রাজ্যে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল।
ব্রাত্য বসু আগরতলা এমবিবি বিমান বন্দরে নেমেই রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করেন।তিনি বলেন,” ত্রিপুরাতে তাকালেই তৃণমূলের ঝড় দেখা যায়।কিন্তু গেরুয়া শিবিরের কোনো ঝড়ই নেই। তৃণমূল কংগ্রেস যে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করবে এটাই তার পূর্বাভাস।”
ব্রাত্য বসু দাবি করেন,ত্রিপুরার বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে।তাই দল ও সরকারের মধ্যে সংযোজন,সংকোচন ও বিয়োজন শুরু করেছে।তৃণমূলের ভয়ের কারণেই বিজেপি আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। ত্রিপুরা দখলের জন্য রাজ্যে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাঁপিয়ে পড়বেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। ব্রাত্য বলেন,”এবার ত্রিপুরাতে সরকার গঠনের পরই ক্ষান্ত হবে তৃণমূল।
শাসক দল বিজেপি’র নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, দিনে স্বপ্ন দেখছেন ব্রাত্য বসু।ঝড় বইছে গেরুয়া শিবিরের দিকে।এটা হয়তো বা ব্রাত্য বসু এখনো দেখতে পারছে না।এই রাজ্যের মানুষ বিজেপি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের উপর আস্থা রাখতে পারছে না।
এদিনই রাজ্যে আসেন অসমের তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি আগরতলা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে স্পস্ট ভাবে বলেন, ” আগামী কয়েক মাস তৃণমূলের জন্য চ্যালেঞ্জ।এই সময়ের মধ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।” সুস্মিতা দেবে’র দাবি, ২০১৮ সালে বিজেপি মানুষকে প্রচুর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আজও ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নি বিজেপি।তাই ত্রিপুরার মানুষ তাদের ভোট দেবে না।
