অপরাধের ক্যানভাসে ভয়ানক চিত্র ত্রিপুরার। লজ্জায় ফেলে দিয়েছে বিহার – উত্তর প্রদেশকে।অপহরন, তোলা বাণিজ্য ও খুন এখন অপরাধ জগতের কুটির শিল্প।নিগোসিয়েশন হয়ে উঠছে যুবকদের মূল পেশা।দিন দুপুরে অপহরন
  এখন পান্তা ভাত।ভেঙ্গে পড়েছে রাজ্যের
পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
         রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে এক অরাজকতা। ভেঙ্গে পড়েছে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিন দুপুরে ঘটছে তোলা আদায়,  অপহরন,খুন । প্রতিদিন পুলিশের চোখের সামনেই ফুটো হচ্ছে অপরাধের ক্যানভাস। গোটা দেশে এই সমস্ত ঘটনার জন্য মাহির বিহার,উত্তর প্রদেশ, মুম্বাইয়ের মতো রাজ্য গুলি। এখন এই তালিকার নতুন সংযোজন উত্তর – পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী রাজ্য ত্রিপুরা। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিহার – উত্তর প্রদেশ – মুম্বাইয়ের গ্যাং স্টারদেরকেও লজ্জায় ফেলে দিতে যথেষ্ট।


পুলিশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির খোয়াই মণ্ডল কমিটির সম্পাদক পিন্টু রায়কে গ্রেফতার করেছিলো।এরপর এখন থিতিয়ে পড়েছে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া।
গোটা দক্ষিণ জেলা এখন তপ্ত।বিজেপির  তোলাবাজ নেতাদের দৌলতে। ঠিকাদাররা বাধ্য হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানতে। অপরাধীরা থানায় পাল্টা মামলা করেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী ঠিকাদার তনয় সাহা এখন ভুগছেন নিরাপত্তা হীনতায়। তাকে প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীরা দিচ্ছে হুমকী হুজ্জুতি।কিন্তু পুলিশ বসে আছে হাত গুটিয়ে।


রাজনীতিকরা বলছেন, পুলিশ নামক প্রাণী রাজ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান মানুষ। ধর্মনগর থেকে আগরতলা, সাব্রুম  সর্বত্র বাড়ছে অপরাধের বহর। অপরাধীদের দমন পীড়নের জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চ ব্যতীত স্পেশাল ট্যাক্স ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এখন স্পেশাল ট্যাক্স ফোর্সের যাত্রা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় নি।


মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা অপরাধ দমনের জন্য বারবার বলছেন “জিরো টলারেন্স” নীতির কথা।কিন্তু পুলিশের কাছে এখন মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি কলা পাতা হয়ে উঠছে। বাস্তব অর্থে স্বজন ভদ্রলোক নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ খারাপ করতেই কি অপরাধ দমনের সুতোতে মাঞ্জা দিচ্ছে পুলিশ। জনমনে উঠছে প্রশ্ন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *