ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ ফেব্রুয়ারি।।
      সাঙ্গ হলো বিধানসভা নির্বাচন। গননা আগামী ২রা মার্চ। এই মুহূর্তে ঘোড়ার সঙ্গে রাজ্য বিধানসভা ভবনের সম্পর্ক গভীর হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। হয়তো বা আগামী ২রা মার্চের পর  রাজ্য রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে তার বাস্তব প্রতিফলন।
       
  *  আয়ারাম গয়ারাম বা ঘোড়া কেনাবেচা।

*    ভারতীয় রাজনীতির এটাই দস্তুর।

  *   এর প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতেও।

রাজনীতিকরা বলছেন, দেশীয় রাজনীতির ঘোড়া কেনা বেচার এই সংস্কৃতি এবার আবিষ্ট হতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। ২৩- র ভোটে একক ভাবে কোনো দল সরকার গঠন করার জায়গাতে নাও পৌঁছতে পারে। তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘোড়া ধরার জন্য জাল বিস্তার করে রেখেছে। প্রয়োজন হলেই টাকার ঝুলি নিয়ে রাজনীতির মহাজনরা ঝাঁপিয়ে পড়বে সংসদীয় রাজনীতির ঘোড়া কেনা বেচার বাজারে।এবং মোটা অঙ্কের বিনিময়ে  তুলে নেবেন নিজেদের প্রয়োজনীয় সাদা- কালা ঘোড়াকে।
     


রাজ্য রাজনীতির স্রোত যে ঘোড়া বাজারের দিকে ধাবিত হতে পারে ভোটের আগেই  তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।তিনি  বলেছিলেন,রাজ্যে  হর্স ট্রেডার মহোদয় অবস্থান করেও তিনি কিছুই করতে পারছেন না। অর্থাৎ ভোটের আগে নাম না করেই জিতেন্দ্র চৌধুরী কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে।
          রাজনীতিকরা বলে থাকেন, ভারতীয় রাজনীতিতে ঘোড়া কেনা বেচার ক্ষেত্রে মহির অমিত শাহ।তিনি এই কাজ কতটা নিপুণতার সঙ্গে করে থাকেন, তার বহু প্রমাণ দিয়েছেন আগেই।তাই রাজ্যের বাম – কংগ্রেস জোট আতঙ্কিত আছে হর্স ট্রেডিংয়ের টাইকুন অমিত শাহকে নিয়ে।


দেশের বিভিন্ন রাজ্য সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে ঘোড়া কেনা বেচার বহু নজীর রয়েছে। বিজেপি মাত্র দুইটি আসন পেয়েও ঘোড়া কেনা বেচার মাধ্যমে সরকার গঠন করে নিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে এক রাতে ৪৯জন কংগ্রেস বিধায়ক টাকার বিনিময়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।রাতারাতি কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে বিজেপি সরকারের উত্থান ঘটেছিলো অরুণাচল প্রদেশে। বিমান বন্দর থেকে   সিআইএসএফ হাই জ্যাক করেছিলো কংগ্রেস বিধায়কদের। খোদ সংসদ ভবনে টাকার বান্ডিল নিয়ে ঢিল ছুড়াছুড়ির সহ ঘোড়া কেনা বেচার এই রকম বহু ঘটনার সাক্ষী রয়েছে ভারতীয় রাজনীতি।
  স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য রাজনীতির বিরোধীরা বিজেপির হর্স ট্রেডিং নিয়ে ইতিমধ্যে মাথা ঘামাতে শুরু করে দিয়েছে।


প্রসঙ্গত রাজনীতিকরা বলে থাকেন, ভারতীয় রাজনীতিতে সর্ব প্রথম ঘোড়া কেনা বেচার সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। হরিয়ানাতেই  শুরু হয় রাজনীতির হর্স ট্রেডিং। তৎকালীন সময়ে
     হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে হাসানপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিধায়ক গয়ালাল।জয়ের  পরই তিনি যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে।এর পরই শুরু হয়েছিল আসল খেল।


পনেরো দিনের মধ্যে গয়ালাল তিন বার দল বদল করেন। প্রথমে কংগ্রেস ছেড়ে ইউনাইটেড ফ্রন্টে, তার পর ইউনাইটেড ফ্রন্ট ছেড়ে আবার কংগ্রেসে, এবং তার ন’ঘণ্টার মধ্যেই ইউনাইটেড ফ্রন্টে প্রত্যাবর্তন। এই ইউনাইটেড ফ্রন্ট ছিল নির্দল প্রার্থীদের একটা জোট। এই গয়ালালের হাত ধরেই  ভারতীয় রাজনীতিতে আগমন ঘটে আয়ারাম গয়ারাম বা ঘোড়া কেনাবেচা সংস্কৃতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *