ডেস্ক রিপোর্টার, ৭জানুয়ারী।।
     রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের শেষ কথা ছিলেন সদ্য প্রয়াত বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত। তিনি এখন অতীত। সুরজিত দত্তের মৃত্যুর পর পরই ব্যাপক চাপে ভাইপো অভিষেক। তিনি পুর নিগমের। কর্পোরেটর। এটাও হয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়কের কল্যাণেই। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে রামনগরে বেশ কিছু লোকজনকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, এরা সবাই কর্পোরেটর অভিষেক দত্তের লোকজন। এমনটাই গুঞ্জন খোদ ভারতীয় জনতা পার্টির অফিসে।
          ৩১ডিসেম্বর রাতে আক্রান্ত হওয়া লোকজন বক্সনগরের বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন আত্মীয়। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি মোড় নেয় অন্য দিকে। মাঠে নামে সিপিআইএম। চাপ বাড়ে শাসক গোষ্ঠীর। আঙ্গুল উঠে শহরের পুলিশী নিরাপত্তা নিয়েও। গোটা ঘটনার তদন্তের শেষে দেখা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঝুটন সহ বাদবাকী সবাই কর্পোরেটর অভিষেকের অনুগামী। আর তাতেই ফেঁসে গিয়েছিলেন কর্পোরেটর! সদ্য জ্যাঠামশাইকে হারিয়ে এখনোও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন নি কর্পোরেটর। এই পরিস্থিতিতে ঘরে – বাইরে প্রচন্ড চাপে অভিষেক।


প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব কর্পোরেটর অভিষেককে স্পস্ট বার্তা দিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে ঘটনা মিটমাট করতে।অন্যথায় তাকেও পড়তে হবে শাস্তির কাঠ গড়ায়! কারণ সুনু দত্তের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই রামনগরে এই ঘটনায় আঙ্গুল উঠেছে বিজেপির দিকেও। এটা মানতে রাজী নয় নেতৃত্ব। বরং অভিষেকের লোকজন বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করেছে। তাই অভিষেক দত্তকে দলের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  অনুগামীদের কন্ট্রোল করতে না পারলে বিপদ বাড়বে অভিষেকেরই।


অন্যদিকে রামনগরের বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সুনুর মৃত্যুর পর অভিষেক নিজেকে বাহুবালী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন। তাই তার অনুগামীদের নানান ভাবে এখন লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তীক্ষ্ণ ভাবে এই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে বুঝানোর জন্য অভিষেক এখন আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন।সামনেই লোকসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেই রামনগর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে উপ ভোট। এই উপ ভোটের আগে প্রার্থীর দৌঁড়ে আছেন অভিষেকও। অন্তত এটাই মনে করছেন অভিষেক। এই অভিলাষ থেকেই নাকি অভিষেক রামনগরে এখন নিজের শক্তির জানান দেওয়ার চেস্টা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *