
ডেস্ক রিপোর্টার, ৯জুন।।
রাজ্য জুড়ে সক্রিয় জমি দস্যুরা। কমিউনিস্ট শাসন থেকেই রাজ্যে জমি বানিজ্য ফুলে ফেঁপে উঠেছিলো। ক্লাব সংস্কৃতির মাধ্যমে আত্ম প্রকাশ ঘটেছিলো তাবড় তাবড় জমিদস্যুদের।তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ছিল “কমরেড”। শহর থেকে সমতল সর্বক্ষেত্রেই ছিলো এই চিত্র।
২০১৮ সালে রাজ্যের ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলেও জমি বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়ে নি। বরং জমি ব্যবসার গতি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কুর্সিতে বসেই ঘোষণা দিয়েছিলেন জমিদস্যুদের সঙ্গে কোনো আপোষ করবেন না। কিন্তু নেশা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপ্লব কুমার দেবের প্রশাসন যতটা সক্রিয় ছিলো, জমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ততটাই নিষ্ক্রিয় ছিলো।স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের জমিদস্যুরা তাদের বিষাক্ত নখ দাত বসাতে থাকে নিয়মিত। তার প্রভাব এখন আরো গভীর ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবং ব্যাপক ক্ষতির মুখে রাজ্যের কোষাগার।কোটি কোটি টাকা হাত ছাড়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের।

নাগরিকদের বক্তব্য, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দিকে নাল জমি, কৃষি জমি, পুকুর,লেক, ভরাটের প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। গণ হারে ঘটছে পুকুর চুরির ঘটনা। জমির দালালরা জমি, পুকুর,জলাশয় ভরাট করে প্লট আকারে চড়া দামে বিক্রি করছে। জমির দালালরা কিভাবে নাল জমি বাস্তু করছে? উঠছে প্রশ্ন।

খবর অনুযায়ী, জেলা শাসক,মহকুমা শাসক ও সেটেলমেন্ট অফিসে বসে আছে রাঘব বোয়ালরা।একই সঙ্গে এই বিষয় গুলি দেখাশুনার দায়িত্বে আছে বিশেষ কমিটি।কমিটির লোকজন আবার শাসক দলীয়। খবর, গোটা চক্রের চাইরা এখন কাজ করছে এক জোটে। মোটা টাকার বিনিময়ে নাল জমি খাস করছে। তাদের সঙ্গে জড়িত আছে প্রমোটররাও।

তারা কম দামে নাল জমি কিনে,এইগুলোকে অবৈধ উপায়ে করছে বস্তু।বিনিময়ে জমি সংক্রান্ত কমিটি, জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের একাংশ আধিকারিকও জড়িত।তাদেরকে টাকা দিলেই নাল জমি বস্তু হয়ে যাচ্ছে।

গোটা প্রক্রিয়াতে উড়ছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এই টাকা আসছে না সরকারী কোষাগারে। জমিদস্যুদের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারী ও বিশেষ কমিটির লোকজন হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে নাল জমিতে মাটি ফেলে, এগুলিকে বাস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে।

রাজ্যের রাজস্ব দপ্তরও গোটা বিষয় নিয়ে নীরব। কোটি কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে না এলেও তাদের কোনো হেলদোল নেই। গোটা চক্রের চাইদের পকেটে পৌঁছে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের প্রনামি।তাই সবার মুখেই কুলুপ।