ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩জানুয়ারী।।
                 অমিত ঘোষ ওরফে দাদামনি। রাজধানীর অপরাধ জগতের ডাক সাইটের মাফিয়া। তবে আইনের পরিভাষায় অমিত এখন নির্দোষ।  বর্তমানে আদালতে থাকা সমস্ত মামলা থেকে বেকসুর খালাস তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে অমিত এখন তার গ্র্যান্ডডিউজ ক্লাব এলাকায় ফিরে যেতে পারেন নি। তবে নতুন করে আস্তানা গেড়েছে শহরের ঊষাবাজারে। তার আশ্রয় দাতা ঊষা বাজারের সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন। স্থানীয় ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের আতিথেয়তায় থাকেন অমিত।


ঊষাবাজার অঞ্চলে কান পাতলেই শোনা যায়, এই মুহুর্তে অমিত ঘোষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানিয় সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন। তার সঙ্গেই অমিত এখন আগরতলায় ঘুরাফেরা করে। রাজু বর্মনের বাড়ীতেই থাকেন অমিত। অমিত কলকাতা থেকে আগরতলায় আসলেই সরাসরি চলে যান রাজু বর্মনের বাড়িতে। এখানে থেকেই অমিত তার ফেলে আসা অপরাধ জগতের চাইদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।


অমিতকে হাতে পেয়ে নতুন সমীকরণ সাজিয়েছে ঊষা বাজারের দাগী সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন। সিপিডাব্লিউ – র মূল্ মাষ্টার মাইন্ড রাজু। একক ভাবে এই মধুর ভান্ড দখল করতেই রাজু তার পুরানো সঙ্গীদের সরিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই বিগড়ে গিয়েছে ঊষা বাজারের পরিবেশ। এখন মধুর ভান্ড দখল কেন্দ্র করে রাজু ও তার প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর  সমাজদ্রোহীরা চলে এসেছে সম্মুখ সমরে। রাজুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অমিত। তাই স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, যে কোনো সময়ে বিষিয়ে উঠেতে পারে ঊষা বাজারের পরিবেশ। ঝরতে পারে তাজা রক্ত। বুলেটের শব্দে কেপে ফের কেপে উঠতে পারে গোটা বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্র।


ঊষাবাজারে অমিত ঘোষের আস্তানা গড়ে তুলার বিষয়ে পুলিশও নিশ্চুপ। রাজ্য পুলিশের এই রহস্য জনক নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তাহলে অমিতকে আশ্রয় দেওয়ার পেছনে থাকা মূল মস্তিষ্ক কার?
          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *