শহরে আটক পশ্চিম বাংলার ২৫জন যুবক।আটককৃতরা তৃণমূলের গুন্ডা:বিজেপি।
বিহার-উত্তর প্রদেশের যুবকরা লুকিয়ে আছে হোটেলে:সুস্মিতা।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৭নভেম্বর।।
রাজধানীর শিবনগরস্থিত একটি বিয়ে বাড়ি থেকে এক সঙ্গে থাকা পশ্চিম বাংলার ২৫জন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে পূর্ব থানার পুলিশ বুধবার বিকালে হানা দেয় বিয়ে বাড়িতে।তখনই এক সঙ্গে একটি ঘরের মধ্যে ২৫জনকে পুলিশ আটক করে। অভিযানকারী পুলিশের দাবি, আটককৃতরা প্রত্যেকে পশ্চিম বাংলার বাসিন্দা।কোভিড আইন অনুযায়ী, একসঙ্গে ২৫জন এক ঘরে থাকতে পারে না।প্রাথমিক ভাবে মহামারী আইন অনুযায়ী তাদের আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।তারা এতো জন কি কারণে পশ্চিম বাংলা থেকে এখানে এসেছে?তাদের সঙ্গে অসংলগ্ন কোনো জিনিস আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী পুলিশ। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারেও শহরের পুলিশ চারজন অপরিচিত যুবককে গ্রেফতার করেছিলো।
এক সঙ্গে বাংলার ২৫জন যুবককে আটক করার ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা থেকে তাদের রাজ্য এনেছে।তাদের দিয়েই ভোট বাজারে দাঙ্গা বাঁধানো হবে। এই সমস্ত যুবকরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্লিপার সেলের এজেন্ট হয়ে কাজ করবে। বিজেপি’র নেতৃত্বের বক্তব্য,অপরিচিত লোকজন দেখলেই পুলিশকে খবর দেওয়া উচিত।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন,” ওরা দাঙ্গা করতে এসেছে কিনা সেটা বিজেপি বিজেপিই বলতে পারবে।বিজেপি’র এত মাথা ব্যথা কেন?”।
সুস্মিতা দেবে’র বক্তব্য, “এই দেশের মানুষ তাদের কাজে এক রাজ্য থেকে অপর রাজ্যে যেতে পারে। তাতে অসুবিধা কোথায়।”তৃণমূল নেত্রীর পাল্টা জবাব, “রবীন্দ্র ভবন চত্বরে একটি হোটেলে বিহার ও উত্তর প্রদেশ থেকে প্রচুর যুবকরা অবস্থান করছে।তাদেরকে কেন পুলিশ ধরছে না?” ২০১৮-র ইস্যু টেনে সুস্মিতা দেব বলেন,” এই সময়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা থেকে শুরু করে বিজেপি’র গাদা গাদা নেতা এসেছিলেন বহিঃরাজ্য থেকে।আর এখন বহিঃ রাজ্য থেকে কোনো আসলে সমস্যা কোথায়?
রাজনীতিকদের বক্তব্য, পুর ও নগর ভোট কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির আকাশে ঘনিয়ে আসছে কালো মেঘ। বিজেপি’র অভিযোগ, বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের লোকজন নিয়ে আসছে।অন্য দিকে একই অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের।তাদের বিজেপি বিহার,উত্তর প্রদেশ থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে।সব মিলিয়ে লড়াইয়ের বাজারে যে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না,তা স্পস্ট।