ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলছে শাসক দল বিজেপি। আগামী কিছু দিনের মধ্যে সুরজিৎ দত্তের গড়ে হানা দিতে চলছে কংগ্রেস। খবর অনুযায়ী,কম করেও হাজার দেড়েক ভোটার বিজেপি ছেড়ে যোগ দেবে কংগ্রেস। এমন গুঞ্জন রামনগর বিধানসভা এলাকায়।কেন এতো সংখ্যক ভোটার বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে?এই প্রশ্নের উত্তর ভালো করে দিতে পারবেন বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত ও তাঁর কর্পোরেট ভাইপো অভিষেক।বলছে খোদ বিজেপির কর্মীরা।দলের উপর তাদের কোনো ক্ষোভ নেই। কিন্তু নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ হয়েই তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজনীতিকরা বলছেন, রামনগর এলাকার সমস্ত বাণিজ্যিক বিষয় গুলো দখল নিয়ে রেখেছেন বিধায়ক ও তাঁর ভাইপো। এছাড়া আরো একটি গ্রুপ সক্রিয়। স্বাভাবিক কারণেই দুই গ্রুপ বানিজ্য কেন্দ্র গুলির ক্রিম হাতিয়ে নিচ্ছে। তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দলের বড় অংশের নেতা – কর্মীরা।তাছাড়াও নানান সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। বরং কার্তিক দাসের মত বাম সমাজদ্রোহী স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেদার রোজগার করছে।কার্তিকের মত এরকম বহু “কমরেড” যারা এখন নামাবলী পাল্টে গেরুয়া হয়ে দলের দুর্দিনের কর্মীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে।তাও আবার দলের প্রথম সারির নেতাদের সামনেই।
দীর্ঘদিন ধরেই রামনগর বিধানসভা এলাকায় চলছে এই কার্যকলাপ। স্বাভাবিক ভাবেই দলের মাঝারি ও নিচু স্তরের কর্মীরা বিতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে।কিন্তু তাদের ক্ষতে মলম দেওয়ার মত বিজেপির কোনো নেতার সময় নেই।প্রত্যেকেই আছে নিজেদের ভাবনা চিন্তা নিয়ে।দিনের পর দিন কর্মীদের মনে থাকা পুঞ্জিভুত ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতে পারে যেকোনো সময়।ইতিমধ্যে তারা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ফেলেছে। কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন গোটা বিষয়টি ক্যাশ করেছেন।তিনি কথা বলেছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা – কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপির বঞ্চিত কর্মীরাও সুদীপকে পাশে পেয়ে ভরসা পেয়েছে।এই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া বাহিনীর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।কংগ্রেসের এই প্রয়াস সফল হলে নিশ্চিতভাবে শহরের রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দেবে।এবং এর প্রভাব পড়বে অন্যান্য জায়গাতেও।
