ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ মে।।
               রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথ সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে  বলেছেন “খাইয়া দাইয়া কাজ নাই, আইয়া পরে”। রতন লাল নাথের এই বক্তব্য ঝড় ওঠছে রাজ্যর সংবাদ জগতে।রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথের বয়স হয়েছে।বয়সের ভারে তার ভিমরতি ধরেছে। বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে তিনি এখন টার্গেট করছেন সাংবাদিকদের। তাই ভর রাজপথে বেইজ্জত করেছেন কর্তব্যরত সাংবাদিকদের। কেন? সাংবাদিকরা কি রতন নাথের পয়সা খায়? না, কারণ রতন বাবু এখন ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকলে ৮৮- র অভিশপ্ত দিনের বুড়ো হাড়ও কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তারই প্রমাণ দিলেন হালের বিজেপির নামাবলী গায়ে দেওয়া রতন লাল নাথ। মন্ত্রীর চেয়ারে বসে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছেন তিনি? কিন্তু নিজেরও যে অসংখ্য ছিদ্র আছে? কে বলবে সেই কথা?

।।রাজপথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীর কটূক্তি।।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মেজাজ হারানোর  রতন লাল নাথের নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি করেছেন। এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত বহু।সাংবাদিক সম্মেলনে রতন বাবুকে বাকা প্রশ্ন করলেই উনার ভ্রু কুঁচকে যায়।এবং নিজেকে “সব জানতা” হিসাবে তুলে ধরেন। প্রয়োজনে আক্রমণ শানান সাংবাদিকদের।
      


বাম জামানায় কম্পিউটার ফ্যাকাল্টিদের আন্দোলন কে, কিভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছিলো? সেটা কাউর অজানা নয়। ২০১১ সালের ১০ ও ১১ জুলাই ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির অন্তরালে কিসের চুক্তি ছিলো?অসহায় যুবক পাপাই সাহার রক্তের বিনিময়ে কে, কিভাবে লভার্থি হয়েছিলেন? এই সময়ে কার দেহরক্ষীর বুলেট ভর্তি ম্যাগজিন হারিয়ে ছিলো? কোথায় সেই ম্যাগজিন?আজও এই সংক্রান্ত রহস্য জনক তথ্য ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে। এই সব তথ্য সামনে নিয়ে এলে রাজ্য রাজনীতির  সুযোগ সন্ধানী  রাজনীতিক রতন নাথ কি মুখ দেখাতে পারবেন?


আসলে রতন লাল নাথ কেন চটে আছেন? অন্তরালে আছে বড় রহস্য। সাধারন মানুষ বলছেন, ঊষা বাজার দূর্গা প্রসন্ন হত্যাকান্ডের রাজু বর্মন ও বিমান দাসরা এখন ব্যাকফুটে। তাই মন্ত্রী রতন লাল নাথের মন ভালো যাচ্ছে না। কেন একথা বলছি আমরা? তার স্বপক্ষেও প্রমাণও দেবে জনতার মশাল। প্রতিবেদনের সঙ্গে সেটে দেওয়া হলো বিরল ছবি । এই ছবি থেকেই স্পস্ট রাজু বর্মন ও বিমান দাসের সঙ্গে মন্ত্রী রতন লাল নাথের ঘনিষ্ঠতা কতটা?


দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলার মূল দুই মাষ্টার মাইন্ড রাজু বর্মন ও বিমান দাসের সঙ্গে মন্ত্রী রতন লাল নাথের ফটো সেশনের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রতন লাল নাথ মাইক্রো ফোনের সামনে দাড়িয়ে আছেন।ঠিক পেছনেই অঘোষিত ভাবে দুই দেহরক্ষীর ভূমিকায় দাড়িয়ে আছে দুর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলার মূল দুই মাষ্টার মাইন্ড রাজু বর্মন ও বিমান দাস।


অপর একটি ছবিতে মন্ত্রী রতন লাল নাথ ও প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে কদম কদম মিলিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সমাজদ্রোহী বিমান দাস। প্রতিবেদনের সঙ্গে সেটে দেওয়া হলো সেই ছবিও।


আসলে ছবিই  যে কথা। মুখে কিছু বলতে হয় না। মানুষ এই ছবি দেখেই যা বুঝার বুঝে যাবে। এই খবর জনতার মশাল- এ প্রকাশিত হওয়ার পর নিঃসন্দেহে মন্ত্রী রতন লাল নাথ তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনে বলবেন তিনি কিছুই জানেন না।রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বহু মানুষ তাদের পাশে চলে আসে। এবং ছবি তোলে। তাতে মন্ত্রীর কি দোষ? ঠিক, কিন্তু রাজু বর্মন, বিমান দাসদের মতো দাগি অপরাধীদের তো মন্ত্রীর চেনা দরকার।কারণ তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশে অসংখ্য মামলা ঝুলছে।তাহলে কোথায় পুলিশ – গোয়েন্দা?


এটা খোদ মন্ত্রী বাহাদুরেরও ব্যর্থতা।আবার সঙ্গে আছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসও। রাজু – বিমানকে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানেন না, বা চেনেন না, একথা অন্ধ লোকও যে বিশ্বাস করবেন না তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এক সময়ে রাজনৈতিক দল আমরা বাঙালির নেতা রতন লাল নাথ শুধু মাত্র সংবাদিকদের জন্যই কংগ্রেস থেকে বিজেপি হয়ে মন্ত্রীর চেয়ারে শোভা বর্ধন করেছেন। এই সত্য কি ভাবে কাকের মতো ভুলে গেলেন রতন বাবু?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *