ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
          আগরতলা বীর বিক্রম বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা খুব শীঘ্রই চালু হবে। ইতিমধ্যেই আগরতলা-চট্টগ্রাম রুটে বিমান চালানোর জন্য ভারত সরকারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে বিধায়ক মিমি মজুমদারের আনা একটি বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনায় পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন। বিধানসভায় আলোচনার পর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বিধায়ক মিমি মজুমদারের আনা মূল প্রস্তাবটি ছিল ‘এই সভা প্রস্তাব করছে যে, আগরতলাস্থিত মহারাজা বীর বিক্রম এয়ারপোর্টের মাধ্যমে অন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ব্যবস্থা চালু করার জন্য ভারত সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় শীঘ্রই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক’।
        আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, আধুনিক ত্রিপুরার অন্যতম রূপকার মহারাজা বীর বিক্রমকে আগে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার এটা উপলব্ধি করেই বীর বিক্রমের নামে বিমানবন্দরের নামাকরণ করেছে। নতুনভাবে তৈরী এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের সময়ই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল এই বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই আগরতলা-চট্টগ্রাম বিমান পরিষেবা শুরু হবে এবং  বীর বিক্রম এয়ারপোর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পাবে।


প্রসঙ্গক্রমে পরিবহণ মন্ত্রী জানান, ধর্মনগর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন লাইন ডবল লেন করার জন্য সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। এজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কাশ্মীর, পুরী এবং মুম্বাইয়ের সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও রেল যোগাযোগ চালু হবে। রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। পরিবহণমন্ত্রী সভায় জানান, বিমান এবং রেল পরিষেবাই নয়, রাজ্যে বর্তমানে নয়টি জাতীয় সড়কের কাজ চলছে। আরও চারটি জাতীয় সড়কের অনুমোদন পাওয়া গেছে। মেলাঘর থেকে কাকড়াবন হয়ে উদয়পুর পর্যন্ত জলপথের সম্প্রসারণ এবং কৈলাসহর বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ এবং পর্যটন মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে রাজ্যে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে।


বিধানসভায় বেসরকারি প্রস্তাবটি উত্থাপন করে বিধায়ক মিমি মজুমদার আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বেসরকারি প্রস্তাবটি সমর্থন করে আলোচনায় অংশ নেন ট্রেজারি বেঞ্চের মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস এবং বিরোধী দলের বিধায়ক বিজিতা নাথ। আলোচনার পর প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *