ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
        রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের উপর তীব্র অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চেপে রাখতে পারলেন না ক্ষোভ।সরকারের আস্থাকে সন্মান দিতে পারলো না সরকারী কর্মচারীরা।তার প্রমাণ ভোটের ইভিএমের রেজাল্ট।বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা।
     ২০১৮ র নির্বাচনে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা দুই হাত ভরে বিজেপিকে  ভোট দিয়েছিল।বিজেপি সরকারে এসে দেবে সপ্তম পে – কমিশন।  এই প্রতিশ্রুতি ও তীব্র বাম বিদ্বেষের কারণে সরকারী কর্মচারীরা দুই হাত ভরে ভোট দিয়েছিলো বিজেপিকে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন না দিলেও পয়েন্ট ৩২ এফেক্ট দিয়েছে। তাতে বেতন বৃদ্ধি হয়েছিলো সরকারী কর্মচারীদের। প্রথম বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকার গত পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে মোট ২০ শতাংশ ডি এ প্রদান করেছিলো কর্মচারীদের। প্রথম ধাপে তিন শতাংশ।দ্বিতীয় ধাপে পাঁচ শতাংশ এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে ১২শতাংশ ডি এ দিয়েছিলো।


।বিজ্ঞাপন।


২০২৩- র ভোটে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের ভোট সুইং করে।বিজেপির দিক থেকে ভোট চলে যায় বাম – কংগ্রেস জোটের দিকে। তাই নির্বাচনে বিজেপিকে কষ্ট করেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে হয়েছে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে কর্মচারীরা বিজেপিকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিল।ভোটের পর বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তা স্পস্ট হয়ে যায়। তারই বহিঃ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
    বিশালগড়ে”ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অ্যান্ড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন”র রক্তদান শিবিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা খুব স্মার্ট ভাবেই সরকারী কর্মচারীদের দাবাই দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের অধিকার মিটিয়ে দিতে সরকার সচেষ্ট। বরাবর কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ানোর চেষ্টা করে।কিন্তু বিধানসভা  নির্বাচনে কর্মচারীরা সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারেন নি।দলের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।কর্মচারীদের এই বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহার দাবি, সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে কাউর মনে কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও কেন এধরনের ঘটনা ঘটেছে? তা খতিয়ে দেখতে হবে। বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
    সরকারি কর্মচারীদের বার্তা দিয়ে বলেন, আস্থা না থাকলে সন্দেহের দানা বাঁধবে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে। তার প্রতিফলন দেখা গেছে ভোটের ফলাফলে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি একথা মুখে বলছেন না।রেজাল্ট দেখেই বলছেন। এবং কর্মচারীদের মধ্যে কিছু যে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে তাও বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন তিনি।
    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সরকারী কর্মচারীদের বুঝিয়ে দিলেন, ২৩- র নির্বাচনে অধিকাংশ কর্মচারী বিজেপির পাশে ছিলো না। তারা ভোট দিয়েছে ভিন্ন শিবিরে। তবে কর্মচারীরা বিজেপির প্রতি কেন অনাস্থা প্রকাশ করেছেন? তার প্রধান কারন কি? তা বোধগম্য হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর। তবে কর্মচারী ও সরকারের মধ্যে যে এক অবিশ্বাসের বাতা বরণ সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *