ডেস্ক রিপোর্টার,১৯মে।।
” নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,
কাষ্ঠ, দগ্ধ হয়ে, করে পরে অন্নদান,…”
নদী, তরু,গাভী ও কাষ্ঠ যুগ যুগ ধরে গোটা সমাজ ব্যবস্থার উপকারে আসছে। অর্থাৎ তারা পরোপকারী।
গোটা সমাজ ব্যবস্থার পরোপকারীদের তালিকায় থাকেন সাংবাদিকরাও। এটা তদের পেশ।এই পেশার মাধ্যমে সাংবাদিকরা মানুষকে সাহায্যই করে আসছেন। তাদেরও পেট আছে,রোজ রুটির দরকার।পেশাগত কাজ থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক দিয়েই ঘর,সংসারের খরচ মেটান। তারমধ্যেই কয়েকজন ব্যতিক্রমী সাংবাদিক আছেন,যারা এই পেশায় নিয়াজিত লোকজনের পাশে সর্বক্ষণ থাকেন।কাজ করেন নিরলস ভাবে। সংশ্লিষ্ট পেশার লোকজনের দুঃখ-কষ্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। সত্যিকার অর্থে তারাই হলেন সমাজের বন্ধু।
রাজ্যের সংবাদ জগতেও এরকম ব্যাতিক্রমী একজন রয়েছে। পরোপকার যেন তাঁর সহজাত অভ্যাস। এই কারণেই দিবা-নিশি যখনই রাজ্যের সাংবাদিকরা বিপদে পড়েন তিনি নেন ত্রাতার ভূমিকা।বহুবার এর প্রমান দিয়েছেন তিনি। দুস্কৃতির দ্বারা সাংবাদিক আক্রান্ত, রোগাক্রান্ত সাংবাদিকের চিকিৎসার অর্থ মিটিয়ে দেওয়া, সাংবাদিকদের নানান দাবি নিয়ে সোচ্চার হওয়া, এই সমস্ত কাজ যেন সর্বক্ষণ বইছে তাঁর শিরা-ধমনীতে
মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক রাজধানীতে সাংবাদিক নিতাই দে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর প্রণবই হয়ে উঠলেন প্রতিবাদী আন্দোলনের মহীরুহ হয়ে। প্রথমে সমস্ত সাংবাদিকদের একজোট করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া।পরে আদালতেও গিয়ে ‘আইনজীবী’র ভূমিকায় বিচারকের সামনে সওয়াল করা। তাও আক্রান্ত সাংবাদিকদের স্বার্থেই।
রাজ্যের গোটা সাংবাদিক সমাজের কাছে প্রণব সরকার সম্পুর্ন ভাবে একটা ‘মানবিক মুখ’। সর্বদা তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে রাজ্যের সাংবাদিকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নদী-তরুর মতোই তিনি সাংবাদিকদের জন্য উজাড় করে দিয়েছেন তাঁর মনের দরজা।
কুর্নিশ প্রণব সরকার,আপনাকে কুর্নিশ। সাংবাদিকদের পাশে সর্বক্ষণ বটবৃক্ষের মতো মহীরুহ হয়ে থাকাটা আপনাকেই মানায়। আর এটাই সাংবাদিকরা আশা করে আপনার কাছে,বিপদে কেউ না থাকলেও,আছেন তাদের পরম বন্ধু “আপনি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *