ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।

*পানিসাগরের চানটিলা থেকে দামছড়া
*রোড সংলগ্ন রৌ- য়া বাজার।
* রৌ- য়া বাজারের পাশেই খাস জমিতে বসতি
স্থাপন করেছিল ভূমিহীন বাঙালিরা ।
*কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস খাস জমি থেকে
উচ্ছেদ করা হলো বাঙালিদের।
• পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই।
* বলছেন খোদ ভুক্তভোগী মানুষ।

স্থানীয় ভূমিহীন যুবতীর কথায়,তার মাথা গুজার জায়গা নেই। শৈশবেই খুন হয়েছে তার মা, বাবা।কিন্তু তাকে বিকল্প জমি না দিয়ে মাথা গুজার শেষ ছাউনীও কেড়ে নিয়েছে প্রশাসন।

রাজ্যের বিজেপি সরকারের উত্তর জেলা প্রশাসন কেন বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে? কাঞ্চনপুরে তিপ্রাসা প্রাক্তন বৈরীরা খাস জমি দখল করে অস্থায়ী বসতি গড়ে তুলেছে। মহকুমা মনু – মনপুঁই সড়কের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল জবর দখল করে রেখেছে তারা। কাঞ্চনপুর বন দপ্তর থানায় মামলা দায়ের করেছে। তারপরও উত্তর জেলা প্রশাসন তাদেরকে উচ্ছেদ করার দুঃসাহস দেখাতে পারে নি।

অথচ খোদ বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাসের উপস্থিতিতে প্রশাসনের সফট টার্গেট হয়েছে বাঙালি অংশের গরীব মানুষ। প্রশাসন ডজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের স্বপ্নের বসতি। বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস বলছেন, এলাকার প্রত্যেক ভূমিহীনকে জমি দেওয়া হয়েছে। বেশ ভালো কথা।কিন্তু বিধায়কের কথাটা কতটা সত্যি? উচ্ছেদের সময় ভুমিহীন মানুষ বিধায়ককে প্রশ্ন করছেন তারা কেন জমি পান নি। সঙ্গে সঙ্গে বিধায়ক বল ছুঁড়ে দেন তহশীলের কোর্টে।

বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস ভূমিহীন মানুষদের বলছেন,নতুন জায়গাতে গিয়ে ঘর তৈরি করতে।তারপর জল, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন? কেন? যদি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিজোরাম থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা রিয়াং শরণার্থীদের জমি,ঘর, জল বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে পুনর্বাসন দিতে পারে ভুমি পুত্র বাঙালিদের ক্ষেত্রে কেন হবে না? কোথায়ও তো আইনের বাধা নেই। তাহলে প্রশ্ন উঠছে উত্তর জেলা প্রশাসনের এক চোখে ঘী, আর অন্য চোখে তেল কেন?

রৌ- বাজার এলাকায় খাস জমিতে বসবাসকারী মানুষ গুলির সাধারণ ঘর তৈরি করার ক্ষমতা নেই।বলছেন, গ্রামবাসীরা।দরিদ্র বাঙালিরা কিভাবে নতুন জায়গাতে গিয়ে মাথা গুজবেন্? প্রশাসন কেন তাদের ঘরের ব্যবস্থা করতে পারে নি। উকি দিচ্ছে এরকম নানান প্রশ্ন।

অবাক করার মতো ঘটনা রৌ- য়া বাজার এলাকার মানুষকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী আভাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়েছে। খাস জমিতে কিভাবে এটা সম্ভব?

কাঞ্চনপুর মহকুমাতে প্রাক্তন বৈরীরা খাস জমি দখল করে রাখলেও উত্তর জেলার প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। অর্থাৎ রক্ত পিপাসু প্রাক্তন বৈরীদের খোসামোদ করছে প্রশাসন।আর নিরীহ বাঙালিদের করছে সফট টার্গেট। আর এটাই কি।নীতি। মনে রাখতে হবে ২৩- র ভোট যুদ্ধে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে ২৬ টি আসনে বাঙালিদের একক কৃতিত্ব।পাহাড়ের ছয়টি আসনের ক্ষেত্রেও বাঙালি ভোট ব্যাংকই ছিলো বিজেপির জয়ের মূল চাবি কাঠি। এই অঙ্ক ভুলে গেলে বাঙালিরাও কিন্তু বিজেপিকে ছেড়ে কথা বলবে না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একথা বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।