ডেস্ক রিপোর্টার, ২২মে।।
ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি হত্যাকাণ্ডের পর ফের সিপিডব্লিউডি নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে ঊষা বাজারে। এবার সংঘাতের মূল কেন্দ্র বিন্দুতে চলে এসেছে খোদ বিজেপির বড়জলা মণ্ডল। তাদের ক্লেশ শুরু হয়েছে ঊষা বাজারের বনেদি ক্লাব ভারত রত্ন সংঘের সঙ্গে। কার দখলে যাবে সিপিডব্লিউডি? এই প্রশ্ন যখন চাগার দিচ্ছে, তখনই ময়দানে অবতীর্ণ বড়জলা মণ্ডলের সভাপতি মুকুল রায়। সঙ্গে তার একাংশ মণ্ডল সদস্য অন্যদিকে ভারতরত্ন সঙ্গে বর্তমান কমিটির লোকজনও মুখিয়ে আছে সিপিডব্লিউডি- র মধুর ভান্ড দখল করতে। ইতিমধ্যে ক্লাব কর্তপক্ষ তাদের নতুন সম্পাদকের নাম ঘোষনা দিয়েছে। তার নাম চন্দন চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন খুন হওয়া যুবক ভিকির রাইট হ্যান্ড। এবং ভিকির নেতৃত্বাধীন ক্লাব কমিটির সহ-সভাপতি।

ঊষাবাজার সূত্রের খবর, ভিকি হত্যাকাণ্ডের পর বড়জলা মণ্ডল কমিটি মাঠে নামে। অভিযোগ মণ্ডলের সভাপতি মুকুল রায়ের নেতৃত্বের কিছু মণ্ডল সদস্য বহিরাগতদের নিয়ে ভারত রত্ন সংঘ দখলের চেষ্টা শুরু করে। তার কারণ ক্লাব দখল মানেই সিপিডাব্লিউডি দখল। কিন্তু ক্লাবের লোকজন তা মানতে রাজী নয়। এই নিয়ে গত কিছু দিন ধরেই মণ্ডল ও ক্লাবের মধ্যে শুরু হয়েছে ঠান্ডা লড়াই। তার বহিঃ প্রকাশ ঘটে সোমবারে।

ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘ এলাকায় সিপিডব্লিউডি ছাড়াও আরো একটি মধুর ভান্ড আগরতলা এমবিবি বিমান বন্দর। বিমান বন্দরের সমস্ত কাজ কর্ম সহ অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের রিমোটও পরিচালনা করতো ক্লাব কমিটি। এবং বড়জলা মণ্ডল কমিটি। ভিকির আগে ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল রাজু বর্মন। তার সঙ্গে মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায়ের সম্পর্ক ছিলো হরিহর আত্মার মতো। তাই ক্লাব ও মণ্ডল উভয়ে মিলিত ভাবে বিমানবন্দরে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতো ।তবে তা করা হতো টাকার বিনিময়ে। স্থানীয় লোকজনকে প্রাধান্য না দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাকার বিনিময়ে লোকদের চাকরি পাইয়ে দিত রাজু বর্মন ও মন্ডল সভাপতি মুকুল রায়।

ভারতরত্ন ক্লাবের সম্পাদকের চেয়ারে হাত বদল হতেই শুরু হয় ঝামেলা। দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকির নেতৃত্বাধীন ক্লাব কমিটির সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় মন্ডলের। এই সংঘাত চলাকালীন রাজু বর্মন বাহিনী খুন করে ভিকিকে। এখন পুলিশির ভয়ে রাজু বর্মন সহ তার লোকজন রাজ্যন্তরি হয়ে আছে। এই অবস্থায় সুযোগ বুঝে সিপিডব্লিউডির মধুরভান্ড সহ এমবিবি বিমান বন্দরের মধুর ভান্ড দখল নেওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায়। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে সোমবারে মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায় বিমান বন্দরে অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।

এই খবর পৌঁছে যায় ভারত রত্ন সংঘের বর্তমান কমিটির লোকজনের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তারাও বিমান বন্দরে ছুটে যায়। এবং মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায়কে অধিকর্তার রুমে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের উপক্রম হয়। প্রকাশ্যে মণ্ডল গোষ্ঠী ক্লাব পরিচালন কমিটিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পাল্টা হুমকি দেয় ভারতরত্ন সংঘের সদস্যরাও।

এই নিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ।শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঝামেলা এড়াতে পুলিশ পত্র পাঠ বিদায় করে দেয় মণ্ডল সভাপতি মুকুল রায়কে। ক্লাব সদস্যদেরও বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করে। এবং পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করে।