ডেস্ক রিপোর্টার, ৫জুলাই।।
     প্রত্যাশিত ভাবে বাস্তব হলো “জনতার মশাল”র  আগাম ব্রেকিং নিউজ। এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিং।বুধবার প্রদেশ বিজেপির সদর দপ্তরে হয়ে এরা গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়েছেন।এদিন প্রথমে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।পরবর্তীতে তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রশান্ত – আশীষ সহ তাদের অনুগামীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

।।বিজ্ঞাপণ।।

প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত ভট্টাচার্য তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস এখন দেওলিয়া হয়ে গেছে। কংগ্রেস চলছে সিপিআইএমের কাধে ভর করে। ত্রিপুরায় কংগ্রেসের কোনো ভবিষ্যত নেই।

।।মুখ্যমন্ত্রী – প্রশান্ত ভট্টাচার্য।।

প্রশান্ত ভট্টাচার্য সরাসরি কামান দাগান কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের বিরুদ্ধে।তিনি বলেন, এআইসিসি সুদীপের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসকে লিজ দিয়েছে।সুদীপ যা বলেন এআইসিসি এটাই করেন।কংগ্রেসের পুরানো,দুর্দিনের কর্মীদের কোনো সন্মান নেই।
  ২৩- র নির্বাচনে বাম – কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে তিনি প্রশান্ত বলেছেন, সুদীপ রায় বর্মন তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের সঙ্গে জোট করেছেন।
প্রশান্ত ভট্টাচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন মূলক কাজ কর্মের জন্যই বিকল্প হিসাবে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন।


এদিন ত্রিপুরা রাজ্যে অপমৃত্যু ঘটেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের।প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের  সহ সভাপতি আশীষ লাল সিং দিদির আঁচল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন।সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কয়েকজন অনুগামী। তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের কর্মী আশীষ লাল সিং দলের সুপ্রিমো মমতার  বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন।

।।মুখ্যমন্ত্রী – আশীষ লাল সিং।।

তিনি বলেন, রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীর রঞ্জন মজুমদার তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠন করেছিলেন। কিন্তু এই বর্ষীয়ান নেতা কলকাতায় টানা সাত দিন বসে থেকেও মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নি। এটা দুঃখ জনক।
আশীষ বলেন,শুধু সুধীর রঞ্জন মজুমদার নয়, বিজেপির বর্তমান দুই বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত ও রতন চক্রবর্তীরা এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন।তখন তাদের সঙ্গেও মমতা একই ব্যবহার করেছেন। বাস্তব অর্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার লোকজনকে অবহেলা করেন। এটা কোনো ভাবেই মানা যায় না।
   

।।বিজ্ঞাপণ।।

তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিং – ও মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতাদের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন মূলক কাজ কর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
  আশীষ লাল সিং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করাতে ত্রিপুরার মাটিতে মমতার ঘাসফুলের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ত্রিপুরায় এখন ঘাসফুলের সাইনবোর্ডও থাকবে না। থাকবে না ঘাসফুলে জল দেওয়ার মতো লোকজন। বলছেন, খোদ তৃণমূল নেতা – কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *