ডেস্ক রিপোর্টার,১৯জুন।।
রাজনৈতিক চিত্র অনেকটা পাল্টে গেলো সুরমা কেন্দ্রের। বলা চলে সুরমা বিধানসভা কেন্দ্র দখল নিল শাসক দল বিজেপি। অন্তত এমন আভাস দিচ্ছে সুরমার বর্তমান পরিস্থিতি।
রাজনীতিকরা বলছেন,গত সপ্তাহ খানেক আগেও সুরমা কেন্দ্রের রাজনৈতিক তরঙ্গ ঝুঁকে ছিলো তিপ্রমথার দিকে। কিন্তু এখন জল গড়াচ্ছে বিজেপির দিকে। গত কয়েকদিন ধরে সুরমাতে ঘাঁটি করে বসে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।
তিপ্রমথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বর্তমানে অসুস্থ। কিন্তু তিনি সুস্থ থাকা অবস্থায় সুরমা কেন্দ্রে যাননি প্রচার করতে।দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল পর্বেও প্রদ্যুৎ অনুপস্থিত ছিলেন। এখন অসুস্থ অবস্থায় প্রদ্যুতের সুরমা যাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। ভোট আছে হাতেগুনা আর কয়েকদিন।

সুরমা কেন্দ্রে এসসি ভোটারের সংখ্যা ২২হাজারের অধিক।এবং এটি ভোটারের সংখ্যা ১৬ হাজার। রাজনীতিকরা বলছেন, এসসি ভোটারের সিংহভাগ ভোট পড়বে বিজেপির দিকেই।কারণ বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ তিপ্রমথাকে ভোট দেবে না। জনজাতি ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। শাসক দল পরিষ্কার ভাবে জনজাতি ভোটারদের মধ্যে মথার পাল্টা প্রচার শুরু করেছে। মথাতে যোগ দিলে তারা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মন্তরিত করবে। কারণ সুরমা কেন্দ্রে বসবাসকারী জনজাতিদের মধ্যে অধিকাংশ হিন্দু। তিপ্রামথার পক্ষ থেকে জনজাতিদের প্রচার করা হয়েছিল,তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে নানান সুযোগ- সুবিধা দেওয়া হবে। বিজেপির পাল্টা প্রচারে ধাক্কা লেগেছে মথার শিবিরে। এক্ষেত্রে তিপ্রামথাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে বড় ভুমিকা পালন করেছেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।
তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর প্রচারে না যাওয়াতে মথার কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।কারণ তিপ্রমথা মানেই প্রদ্যুৎ কিশোর।তারা আশা করেছিলো প্রদ্যুৎ কিশোর যাবেন সুরমা কেন্দ্রে। এবং দলীয় প্রার্থীর হয়ে করবেন প্রচার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না।এই মুহূর্তে দলনেতা না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ মথার কর্মীরা। তিপ্রামথার কর্মীদের হতাশাকে হাতিয়ার করে বাজিমাত করে বিজেপি।

রেবতী ত্রিপুরা (ফাইল ছবি)।

ইতিমধ্যে সুরমা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকরা।সব মিলিয়ে সুরমা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী স্বপ্না দাস পালের দিকেই হাওয়া বইছে।
বাম প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস লড়াই করবেন ভোট ময়দানে।তবে তিনি দূরে থাকবেন জয় থেকে।বলছেন স্থানীয় লোকজন।কারণ অঞ্জন দাসের আগের জনপ্রিয়তা নেই।তাকে এবার দল ভোট লড়াই না করার বার্তা দিয়েছিল।কিন্তু তিনি ত মানেননি। অবশেষে চাপের মুখে সিপিআইএম অঞ্জন দাসকে প্রার্থী করেছে ।এই নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। দীর্ঘদিন বিধায়ক থাকার ফলে অঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু স্বজন পোষণের অভিযোগ রয়েছে।এই অভিযোগ তিনি এখনো খন্ডাইতে পারেন নি। অর্থাৎ অঞ্জন দাসের দুর্নীতি এখনো ভুলে নি সুরমা মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *