ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬ফেব্রুয়ারি।।
            ২৩ – র ভোটে জোট হয়ে লড়াই করছে বাম – কংগ্রেস। আসন সমঝোতায় সূর্য্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে সিপিআইএম। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে সুশান্ত চক্রবর্তীকে। তার প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল।
            ২৩- র মহারণে নানান কারণে সূর্য্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রটি বিরোধীদের জন্য উর্বর ভূমি হয়ে উঠেছিল। সিপিআইএমের শক্তি ভিত রয়েছে এই কেন্দ্রে।কংগ্রেসের অবস্থান নেহাৎ খারাপ নয়।কারণ এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের নার্সিং করছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবক্তা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য।তিনি ২০১৮ র নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। অর্থাৎ কংগ্রেসের বাতি যখন টিপ টিপ করছিল, তখন প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য বুক ফুলিয়ে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের ব্যাটন তুলে ধরেছিলেন।স্বাভাবিক ভাবে ২৩ র মহাযুদ্ধে সূর্য্যমনি নগর কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন প্রশান্ত ভট্টাচার্য। বলছে খোদ কংগ্রেস কর্মীরা।

সূর্য্যমনি নগর কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া।

প্রদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সব তাল গোল পাকিয়ে যায়। বামেরা আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ফলে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস জবরদস্ত লড়াইয়ের জায়গাতে চলে আসে।কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের ভুলের কারণে আসনটি নির্বাচনের আগে বিজেপির দিকে ঝুঁকে যায়। কংগ্রেস প্রার্থী সুশান্ত চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই কেন্দ্রে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে পারেন নি। তুলনায় প্রশান্ত ভট্টাচার্যের জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। বর্তমানে তিনি এআইসিসির সদস্যও বটে। কংগ্রেস কর্মীদের কথায়, প্রশান্ত ভট্টাচার্য্যকে কংগ্রেস প্রার্থী করলে বিজেপির প্রার্থী রাম প্রসাদ পালের সঙ্গে তার জম্পেশ লড়াইয়ের সম্ভাবনা ছিল।এবং থাকতো জয়ের হাতছানি।

কংগ্রেস প্রার্থী সুশান্ত চক্রবর্তী

কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তে ব্যাকফুটে চলে যায় জোট। নির্বাচনের আগেই সূর্য্যমনি নগর কেন্দ্রটি ঝুঁকে পড়ে বিজেপির দিকে। বলতে গেলে কংগ্রেস নেতৃত্ব জেনে বুঝে আসনটি উপহার দিয়েছে বিজেপিকে। বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটলে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী রাম প্রসাদ পালের জয় অনেকটা নিশ্চিত।

কার স্বার্থে ব্রাত্য প্রদেশ কংগ্রেস প্রবক্তা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য?

কংগ্রেস কর্মীদের প্রশ্ন, কার স্বার্থে কংগ্রেস সূর্য্যমনি নগর কেন্দ্রটি ছেড়ে দিয়েছে বিজেপির হাতে? অবশ্যই ২রা মার্চ গণনার পর ময়না তদন্ত করবে এআইসিসি।কিন্তু তার আগে সূর্য্যমনি নগরে কংগ্রেসের আত্মহনন দেখতে হবে প্রদেশ এবং সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
                

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *