ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
  স্বপ্ন পূরণ একেবারে পৌঁছে গিয়েছে দরজায়।বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষা মূলক ভাবে রেল প্রবেশ করলো রাজ্যে। ওপরের গঙ্গা সাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্ত পুর রেল স্টেশনে। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়েছে ট্রায়াল রান। বাংলাদেশ থেকে আগরতলায় রেল প্রবেশের মাহেন্দ্রক্ষণ দেখতে দুই দিকেই ছিলো উপচে পড়া জনতার ভিড়। ছিলেন দুই দেশের রেল মন্ত্রকের পদস্থ অধিকারা।
            উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবারের নিশ্চিন্ত পুর থেকে বাংলাদেশের ভিতরে প্রথম রেল স্টেশন গঙ্গা সাগর। এরপর আখাউড়া। গঙ্গা সাগর থেকে নিশ্চিন্ত পুর স্টেশন পর্যন্ত রেলের ট্রায়াল রান খুব সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপস্থিত এক অধিকারকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে এক খুশির আবহ।তিনি বলেন, গঙ্গা সাগর থেকে নিশ্চিন্ত পুরে আসতে সময় নিয়েছে মাত্র ২০ মিনিট। গঙ্গা সাগরের পরের স্টেশন আখাউড়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল দিয়ে এই প্রথম ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের বেনাপোল দিয়ে আগেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ছিল।স্বাভাবিকভাবেই এখন নিশ্চিন্ত পুর ও গঙ্গা সাগর দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও আরোও সুদৃঢ় হবে।
   বাংলাদেশ রেলওয়ের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন,  সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রায়াল রান হয়েছে।এখন দুই দেশের সরকারের সদ-ইচ্ছায়  চালু হবে রেল যোগাযোগ। গঙ্গা সাগর থেকে নিশ্চিন্তপুর থেকে গঙ্গা সাগর। এবং আখাউড়া থেকে ঢাকা রেল রাস্তা সম্পূর্ন প্রস্তুত।
রাজ্যের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরেই এই স্বপ্নে বিভোর ছিলো। ত্রিপুরার মানুষের কাছে এটা শুধু নিছক রেল যোগাযোগ নয়। রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ত্রিপুরা এখন স্থান পেয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মান চিত্রে। ত্রিপুরা সহ গোটা উওর – পূর্বাঞ্চলের কাছে নিশ্চিন্তপুর হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক হাব। বাণিজ্যিক ও অর্থ নৈতিকত ভাবে আরোও বেশী সুঠাম হবে রাজ্যের মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরেই এই স্বপ্ন দেখছিল রাজ্যের মানুষ।এখন এই স্বপ্ন একেবারে হাতের নাগালে। তাই গঙ্গা সাগর থেকে নিশ্চিন্তপুরে রেল প্রবেশের মাহেন্দ্রক্ষন দেখে আবেগ, উচ্ছাসে ফেটে পড়ে এপার – ওপার দুই পাড়ের মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *