
ডেস্ক রিপোর্টার,২৭এপ্রিল।।
গোর্খাবস্তিস্থিত পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান ভবনের কনফারেন্স হলঘরে জেলাভিত্তিক “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে এক উচ্চস্তরীয় পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার। দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পৌরোহিত্য হয় বৈঠক।
” সম্প্রতি ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রক ২০২১-২২ সালে “জল জীবন মিশন” প্রকল্পে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য রাজ্য পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরকে “জল জীবন মিশন” প্রকল্পে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রণোদনা অনুদান হিসাবে ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
ত্রিপুরা সরকারের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর ২০২২ সালের মধ্যে “জল জীবন প্রকল্প” এর মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়ী বাড়ী নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত স্বচ্ছ পানীয় জল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “হর ঘর জল” শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের সাথে যুক্ত সকল স্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা দিনরাত্রি নিরলসভাবে “মিশন মুডে” কাজ করে চলেছে।” বৈঠক শেষে একথা বলেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শনে এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব’র সুযোগ্য নির্দেশনা ও পরিচালনায় ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে নল বাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে দপ্তর।একথা যোগ করেছেন মন্ত্রী।

তরুণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বৈঠকে “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়।এই মিশনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
ভিশন ডকুমেন্ট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে পরিশ্রুত পানীয়জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এজন্য মিশন মুডে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রত্যেক কর্মী ও অফিসারকে স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
এই মিশন ১০০ শতাংশ সফল করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
জনকল্যাণে গৃহীত সরকারি প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং গুণগতমান বজায় রেখে সম্পন্ন করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন।। জানাগেছে,এদিনের বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলে আয়রনের সমস্যা দূরীকরণে দ্রুত আয়রন রিমুভাল প্লান্ট(আই.আর.পি) বসানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।