ডেস্ক রিপোর্টার,১০জানুয়ারি।।
                    এক সময় রাজ্য রাজনীতির দানবীয় শক্তি ছিলো সিপিআইএম। শরিকদের সঙ্গে নিয়ে দুই ধাপে মোট ৩৫বছর রাজ্যের ক্ষমতার মানদণ্ডের ধারক – বাহক ছিলো মেলারমাঠের কান্ডারীরা। ১৮ – বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ বাম ঐক্যকে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
                    এখন ২৩ – র ভোট যুদ্ধ  দরজায় কড়া নাড়ছে। সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সিপিআইএম সহ তাদের শরিকরা। বিধানসভার বিরোধী দল সিপিআইএম। তাদের সাংগঠনিক শক্তিও নাকি বেশি।তারপরও ২৩ – র মহাযুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করার সাহস পাচ্ছে না।তাই সঙ্গে চাইছে কংগ্রেসকে।রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতি নিয়ে বাম জোট এক সঙ্গে কংগ্রেসকে নিয়ে দিয়েছে যৌথ বিবৃতি।
                    রাজনীতিকরা বলছে, সিপিআইএম ৫৭ মাসের মধ্যেই একা লড়াই করার দুঃসাহস দেখাতে পারছে না। তারা বিজেপিকে ঠেকাতে সঙ্গে চাইছে কংগ্রেস। তাতে স্পষ্ট বামের শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। আগে প্রকৃত বিরোধী দল হিসাবে বামেদের যে চরিত্র ছিলো ,এখন তা অতীত। পাহাড়েও বামেরা ছন্ন ছাড়া। প্রসঙ্গত ১৯৯৩ সালে কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরও আজকের সিপিআইএম থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। কারণ ১৯৯৮ – র বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস একা লড়াই করে ১৯টি আসন পেয়েছিল।তখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন গোপাল রায়।কিন্তু আজকের সিপিআইএম বাম ঐকের শরীকদের সঙ্গে নিয়েও একা ১৫টি আসন পাওয়ার অবস্থায় নেই।অথচ তারা ৩৫ বছরের ক্ষমতাসীন দল।
                   রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, সিপিআই এমের এই অবস্থা থেকে স্পষ্ট তারা মুখে বললেও কার্যক্ষেত্রে অনেকটা দুর্বল। বিজেপি সরকারের জামানায় বামেদের রাজনৈতিক অধ:পতন হয়েছে।এই জন্যই তারা এখন এক সময়ের পরম শত্রু কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করার জন্য মুখিয়ে আছে। কংগ্রেসকে সরাসরি দিচ্ছে জোটের প্রস্তাব। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ফলাফল নিয়ে শঙ্কায় আছে অতি বড় বাম সমর্থকরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *