ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ ফেব্রুয়ারি।।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে বেজে উঠেছে ডঙ্কা।ইতিমধ্যে সব কয়টি রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে নেমে পড়েছে মাঠে।প্রত্যেকেই তৈরি করছে রণকৌশল। পাহাড়-সমতল সব জায়গাতেই একই অবস্থা।
পাহাড়ে দুই জনজাতি ভিত্তিক দল আইপিএফটি ও তিপ্রামথা।গত বছর এডিসি নির্বাচনে রাজ্যের শাসক জোট মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। পাহাড় রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছিল নতুন শক্তি তিপ্রামথার।
তিপ্রামথার মূল দাবি গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড।এবং আইপিএফটি’র দাবি তিপ্রাল্যান্ড। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’র দাবিকে সামনে রেখে প্রদ্যুত কিশোরের তিপ্রামথা বাজিমাত করেছিলো এডিসি নির্বাচনে।একই ভাবে ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রাল্যান্ডকে সামনে রেখে আইপিএফটি পেয়েছিল সাফল্য।
২৩-র ভোটেও পাহাড়ে লড়াই হবে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ও তিপ্রাল্যান্ডের মধ্যে।মাঝে অবশ্যই থাকবে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দল সিপিআইএম। ইতিমধ্যে আইপিএফটি’র সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য মেবার কুমার জমতিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা ফের তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে সরব হবেন।দ্বারস্থ হবে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর।অর্থাৎ গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ে তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে সরব হবে আইপিএফটি।
রাজনীতিকরা বলছেন, ২৩-র মহাযুদ্ধে তিপ্রাল্যান্ড ও গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের মধ্যে জনজাতিরা কাকে বেঁচে নে? এটা অবশ্যই পাহাড় রাজনীতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এডিসি নির্বাচনে পাহাড় বেছে নিয়েছিলে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডকে।তাই তিপ্রাল্যান্ড গুরুত্ব হারিয়ে যায়।কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে জনজাতিরা ছিল তিপ্রাল্যান্ডের পাশে।
আইপিএফটি’র সাধারণ সম্পাদক তথা মেবার কুমার জমতিয়া বলেছেন, “পাহাড়ে দলের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। তিপ্রার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে আইপিএফটি’র। দলের গ্রাউন্ড স্তরের রিপোর্ট নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে সদ্য সমাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। মেবার কুমার জমতিয়া বলেন, পাহাড়ে তিপ্রার জনপ্রিয়তা কমছে। এখন মানুষের আস্থা বাড়ছে আইপিএফটি’র দিকে।স্বাভাবিক ভাবেই আইপিএফটি পাহাড় রাজনীতিতে আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
অন্যদিকে তিপ্রামথার নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যের পাহাড়ে প্রদ্যুত কিশোরের আধিপত্য।এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।তার ফল পাওয়া গিয়েছিলো এডিসি নির্বাচনে।পাহাড়ের মানুষ বিশ্বাস করে প্রদ্যুত কিশোরই পারবেন তিপ্রাসাদের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড এনে দিতে।তাই ২৩-র ভোটেও তিপ্রামথাকে ভোট দেবে জনজাতিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *