ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯অক্টোবর।।
রাজ্য রাজনীতির ২২ গজে তৃণমূল কংগ্রেস আচমকা ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং শুরু করেছিলো। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের অদূরদর্শিতার কারণে ঘাসফুলের ঝড়ো ব্যাটিং স্তব্ধ হয়ে যায়। “সুইসাইড” উইকেট দিয়ে আসেন দলের কয়েকজন নেতা। মমতার দলের এই মন্দ পারফরমেন্সে মানুষও মুখ ফিরিয়ে নেয়।এই মুহুর্তে ঢাল তলোয়ারহীন তৃণমূল লড়াই করছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস কি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ৬০আসনে প্রার্থী দিতে পারবে?এই প্রশ্ন উকি দিচ্ছে দলের অন্দরেই।বা সব কয়টি আসনে প্রার্থী দিলেও কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে?এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই আছে রাজীব – সুস্মিতার কাছে। সুবল এখন অতীত।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দল মহলের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির সব কয়টি আসনে প্রার্থী দেবে না।কারণ দলের সেই শক্তি নেই। নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে মাত্র ২০টি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল।এই আসন গুলিতেই ফোকাস করবে নেতৃত্ব। অথচ রাজ্যের পুর ও নগর ভোটের সময় মনে হয়েছিলো ২৩- র মহারণে বড় শক্তি হিসাবে আত্ম প্রকাশ করবে মমতার দল।এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে।তৃণমূলের প্রতি মোহ ভেঙ্গেছে মানুষের।
রাজনীতিকরা বলছেন, ২০টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও তারা নির্বাচনে দাগ কাটতে পারবে না।কারণ বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত জব্দ হবে। মমতার প্রার্থীরা কোনো ভাবেই ৬শতাংশ ভোট পাবে না। তা না হলে নিশ্চিত উপ ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে। রাজ্যের এমন কোনো বিধানসভা কেন্দ্র নেই, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা ছয় শতাংশ ভোট পেতে পারে।তাহলে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান কোন জায়গাতে পৌঁছেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অস্তিত্বহীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই ল্যাং মারামারির শেষ নেই। এখনও শীতল যুদ্ধ চলছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেবের মধ্যে। সুবলকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর,তিনিও বসে নেই। দলে থাকা সুবল অনুগামীরাও দলকে টেনে নামিয়ে দেওয়ার প্রয়াস শুরু করেছে।দলের একটা ভালো অংশের পুরানো নেতা – কর্মী হাত গুটিয়ে বসে আছে।এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে ভুগতে চলছে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।
