ডেস্ক রিপোর্টার,৯ ফেব্রুয়ারি।।
অবশেষে শাসক দল বিজেপি ঘোষনা করলো ২৩- র সংকল্প পত্র। বৃহস্পতিবারে রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সংকল্প পত্র ঘোষনা করেন।
সংকল্প পত্র ২০২৩-এর মাধ্যমে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের চাহিদা পূরণ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সশক্তিকরণ – অর্থাৎ, সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির সুনিশ্চিত পরিকল্পনা এখানে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় জনতা পার্টির।
• প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ৩.৩৭ লক্ষেরও বেশি বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ২.৫৪ লক্ষ বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
*আয়ুষ্মাণ ভারত যোজনার আওতায় ১৩.৮ লক্ষ সুবিধাভোগীকে ২৫ লক্ষ স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পে ১০৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
*জল জীবন মিশনের আওতায় ৪ লক্ষের বেশি পরিবার পেয়েছে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ।
*প্রবীণ নাগরিক এবং বিধবাদের মাসিক পেনশন ২১,০০০ থেকে বাড়িয়ে ২২,০০০ করা হয়েছে, যার ফলে ৩.৮ লক্ষ সুবিধাভোগী উপকৃত হয়েছে।
*৯৪৩টি বিদ্যালয়ে ককবরক, ৫৮টি বিদ্যালয়ে চাকমা এবং ৪৯টি স্কুলে হালাম-কুকি চালু করা হয়েছে। ৫০৮ টাকা কোটি ব্যয়ে ২.৪ লক্ষ কৃষককে পিএম কিষান সম্মান নিধির আওতায় বছরে ৬,০০০ প্রদান করা হয়েছে।
*২৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৩ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে, যার ফলে ৭০,০০০-এর বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছে।
*মহিলাদের জন্য সমস্ত সরকারি চাকরিতে ৩৩% আসন সংরক্ষণ।
*২৪,০০০ জনের বেশি লোককে সরকারি চাকরি প্রদান করা হয়েছে এবং ২০,০০০ এম.এস.এম.ই-তে ৩.৮ লক্ষের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
*সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার ফলে উপকৃত হয়েছে ১.৯ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী।
*১,৪৪০ কোটি টাকা খরচে সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ডিএ এবং ডিআর ৮% থেকে ২০% বৃদ্ধি করা হয়েছে।
*৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ এবং ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
*বালিকা সমৃদ্ধি স্কিম কন্যা সন্তানের জন্মের জন্য আর্থিকভাবে দুর্বল অংশ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৫০,০০০ টাকার একটি বন্ড।
*মেধাবী কলেজগামী মহিলা ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা।
*পিএম উজ্জ্বলা যোজনার সমস্ত সুবিধাভোগীদের ২টি বিনামূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার।
*সকল যোগ্য ভূমিহীন নাগরিকদের জমি পাট্টা বিতরণ করা।
*২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ এবং শহরের সমস্ত নথিভূক্ত সুবিধাভোগীদের জন্য সুলভ মূল্যের আবাসন তৈরী করা হবে।
*অনুকূলচন্দ্র ক্যান্টিন চালু করবো যেখানে ২৫ টাকা প্রতি প্লেট দরে দিনে তিনবার ভর্তুকি যুক্ত রান্না করা খাবার পাওয়া যাবে।
*পিডিএস সুবিধাভোগীদের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে চাল ও গম এবং বছরে চারবার ভর্তুকি দরে ভোজ্য তেল সরবরাহ করা হবে।
*প্রস্তাবিত ১২৫-তম সংবিধান সংশোধনী বিলের এক্তিয়ারের মধ্যে TTAADC-কে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন এবং অতিরিক্ত আইনি, নির্বাহী, প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে পুনর্গঠন করবো । ত্রিপুরা জনজাতি বিকাশ যোজনা তফসিলি উপজাতি পরিবারকে ৫,০০০ টাকা বার্ষিক আর্থিক সহায়তা।
*উপজাতীয় সংস্কৃতি ও অধ্যয়নের গবেষণা, প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য গন্ডাছড়ায় মহারাজা বীর বিক্রম মাণিক্য উপজাতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
*প্রধান সমাজপতিদের সম্মানী ভাতা প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ করা হবে।
*পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় প্রতি বছর ২৬,০০০ থেকে ২৮,০০০ আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং ভূমিহীন কিষাণ বিকাশ যোজনার আওতায় সমস্ত ভূমিহীন কৃষকদের প্রতি বছর ৩,০০০ আর্থিক সহায়তা। মৎস্য সহায়ক যোজনা সমস্ত জেলেকে ৬,০০০ টাকা বার্ষিক আর্থিক সহায়তা।
*২০২৪ সালের মধ্যে জল জীবন মিশনের অধীনে সমস্ত পরিবারে নল বাহিত জলের পরিষেবা সরবরাহ করা হবে।
*আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে প্রতি পরিবারের বার্ষিক ক্যাপ ৫ লক্ষ থেকে দ্বিগুন করে ২১০ লক্ষ করা হবে।
*১০০% ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার সহ MSME এবং উদ্যোক্তাদের ২১০ লক্ষ পর্যন্ত জামানত-মুক্ত ঋণ প্রদান করতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
*মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগযোগ যোজনার অধীনে প্রায় ৫০,০০০ মেধাবী কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন প্রদান করা।
*আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ১,০০০ কোটির বিনিয়োগ সহ ত্রিপুরা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালু করবো। ২১,০০০ কোটি বিনিয়োগ করে ত্রিপুরার পর্যটন অর্থনীতিকে প্রসারিত করবো।
*গ্রামীণ পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে ত্রিপুরা উন্নত গ্রাম তহবিলে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
*আবেদন জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে জাত শংসাপত্র প্রদান করে জাত শংসাপত্রের শেষ মাইল বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।
* প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি তীর্থ যোজনা চালু করা হবে এবং অযোধ্যা, বারাণসী, উজ্জয়ন ইত্যাদিতে ভর্তুকিযুক্ত ট্রেনের ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং ভাতা প্রদান করা হবে।
* ঝাড়খণ্ডের দেওগড় এবং উত্তর প্রদেশের গোরখনাথে ভর্তুকিযুক্ত ট্রেন ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং ভাতা সহ একটি বিশেষ প্যাকেজ চালু করা হবে।
* রাজ্যের লোকনৃত্য, সঙ্গীত এবং থিয়েটারকে জনপ্রিয় করতে এস. ডি বর্মণ পারফর্মিং আর্টস একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে।
* ২১,০০০ কোটি বিনিয়োগ করে ত্রিপুরার পর্যটন অর্থনীতিকে প্রসারিত করবো এবং ১ লক্ষ লোককে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান প্রদানের জন্য ত্রিপুরা ট্যুরিজম স্কিল মিশন চালু হবে।