ডেস্ক রিপোর্টার,২০ফেব্রুয়ারি।।
বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। ভোট হবে উন্নয়নের নিরিখে।উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনে ভোট চাইবে শাসক দল বিজেপি।তার আগেই রাজ্যের উন্নয়নের চিত্র কাগজে-কলমে ঝালিয়ে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজের সরকারি আবাসে ম্যারাথন বৈঠকে বসেন।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র সিংহ ভাগ বিধায়ক, প্রথম সারির রাজ্য নেতৃত্ব, জেলা ও মন্ডল সভাপতিরা। এদিন দুপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে শুরু হয় বৈঠক।শুরুতেই ধলাই-উত্তর ও ঊনকোটি জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এরপর ধারাবাহিক ভাবে অন্যান্য জেলার বিধায়ক, জেলা নেতৃত্ব ও মন্ডল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।বৈঠকে ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়।শরিক দল আইপিএফটি’র বিধায়করা ছিলেন বৈঠকে।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বলেন, গোটা বৈঠকে হয়েছে কাজকর্মের পর্যালোচনা।প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে কি পরিমান কাজ হয়েছে।আরো কি কি কাজ বাকি আছে।মানুষের চাহিদা কি? রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের কাছে সঠিক ভাবে পৌঁছেছে কিনা? এই সমস্ত বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা করেন।
রাজ্যের পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়ও একই সুরে কথা বলেন।প্রতিটি বিধানসভা এলাকাকে কিভাবে আরো উন্নয়ন করা যায় এবং এখনো কি কি কাজ বাকি রয়েছে তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।
বিজেপি’র ছামনু কেন্দ্রের তরুণ বিধায়ক শম্ভু চাকমা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,”এখন পর্যন্ত কংগ্রেস থেকে তাঁর কাছে কোনো অফার যায়নি।তবে তিনি তা প্রত্যাশাও করেন না।শম্ভু চাকমা বলেন, তিনি কংগ্রেস বা সিপিআইএমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বিজেপিতে এসেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের নেতা। বিধায়কদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।এবং মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সমস্যা নিরসনের পথ।
মুখ্যমন্ত্রীর আবাসে বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে অনুরূপ বক্তব্য রাখেন ফটিকরায়ের বিধায়ক সুধাংশু দাস।তিনিও বলেন, এখন পর্যন্ত এলাকাতে কি কাজ হয়েছে, কতটুকু হয়েছে?কত অংশ বাকি আছে? তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা করেছেন।
বিধানসভা ভোট কেন্দ্র করেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পর্যালোচনার বৈঠক।এই বৈঠকে সাংগঠনিক নানান বিষয় নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক থেকে নেতা প্রত্যেককে। রাজনীতিকরা বলছেন, রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
