
ডেস্ক রিপোর্টার,৪এপ্রিল।।
রাজনৈতিক ধসা রোগে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত তিপ্রামথা। প্রদ্যুৎ কিশোর কতদিন মথাকে আঁকড়ে রাখতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন খোদ জনজাতি রাজনীতিকরা।পাহাড়ের রাজনীতির আভাস আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভেঙ্গে যাবে তিপ্রামথা। মথার একাংশ বিধায়ক সরাসরি যোগ দেবেন বিজেপিতে।ইতিমধ্যেই নাকি তিপ্রামথার বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব এক প্রস্থ আলোচনা সেরে নিয়েছেন।

খবর অনুযায়ী, একদিকে বিজেপি তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে সাংবিধানিক সমাধানের আলোচনা করবে। অন্য দিকে রাজনীতির পাশা গুটির চাল দিয়ে মথাকে গ্রাস করার চেষ্টা করবে। তার জন্য বিজেপির প্রথম টার্গেট বিরোধী দল নেতা অনিমেষ দেববর্মা। প্রদ্যুৎ কিশোরের কাছ থেকে অনিমেষকে তুলে নিয়ে প্রথম বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। রাজনীতিকরা বলছেন, অনিমেষ বিরোধী দল নেতার আসনে বসে নিজেকে আচমকা রক্ষণাত্মক করে ফেলেছেন।এখন তিনি কথায় কথায় বাঙালির মুণ্ড পাত করেন না।বিচক্ষণ অনিমেষ বুঝে গেছেন,এই রাজ্যে জাতি জনজাতিদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সফল করা যাবে না। বরং বাঙালির সঙ্গে থেকেই নিজের রাজনৈতিক শ্রী বৃদ্ধি করতে পারবেন।

রাজনীতির অন্দরের খবর, অনিমেষ
দেববর্মার অচামকা পরিবর্তনের পেছনে কাজ করছে বিজেপির ভোক্যাল টনিক। মুলত অমিত শাহের দূত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্ত্রেই অনিমেষ তার মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন। অনিমেষ আরোও কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলে নিশ্চিত ভাবে তিনি জায়গা পাবেন মন্ত্রিসভায়।স্বাভাবিক ভাবে মন্ত্রী হওয়ার এই হাতছানি কি ছাড়তে পারবেন অনিমেষ? নিশ্চয় না।কারণ অনিমেষ এই রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতি করছেন।এক সময় এন সি টির প্রতীকে দাড়িয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ হয়নি।এবার তিনি বিরোধী দল নেতার চেয়ারে বসেছেন।

এখন চাইছেন মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পূর্ণ মন্ত্রী। তবে অনিমেষকে মন্ত্রী সভায় নিয়ে গিয়ে গুরুত্ব পূর্ণ মন্ত্রী করতেও কোনো অসুবিধা নেই ভাজপার। তাই অনিমেষকে সামনে রেখেই তিপ্রামথার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি।২৪- র লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসনে কোনো ভাবেই রিস্ক নিতে চাইছে না বিজেপি নেতৃত্ব।কারণ নির্বাচনে তাদের পথের কাটা হবে মথা। তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা খোলার খেলায় নামছে বিজেপি। ২৩- র ভোটের আগেও বিজেপি একই ভাবে রণ কৌশল নিয়েছিলো। তারা দলে টেনে নিয়ে এসেছিল পাতাল জন্য জমাতিয়াকে।কিন্তু প্রদ্যুৎ কিশোরের বিক্রমের সামনে পাতাল আরো পাতালে চলে যান।তিনি সেই ভাবে প্রদ্যুৎ কিশোরকে বেগ দিতে পারেন নি। কিন্তু অনিমেষ আর পাতাল কন্যা এক নয়। পাতাল কন্যা প্রদ্যুৎ কিশোরকে কোনো রকম চাপ দিতে না পারলেও অনিমেষ তিপ্রামথার সঙ্গ ত্যাগ করলে মহা সঙ্কটে পড়ে যাবেন প্রদ্যুৎ কিশোর। বলছেন, তিপ্রামথার কর্মীরা।