
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৬জুলাই।।
*নাম: সরস্বতী লোধ।
*বাড়ি: সিদ্ধিআশ্রম
*বিধানসভা কেন্দ্র: বাধারঘাট ।

সরস্বতী লোধ । তিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। বাধারঘাট বিধানসভার সিদ্ধিআশ্রম অঞ্চলের ডাক সাইটের নেত্রী সরস্বতী।তিনি নাকি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গরু ও গাধাকে এক ঘাটে জল খাওয়ান। তিনিই এলাকার শেষ কথা।বিজেপির স্থানীয় লোকজন সরস্বতীকে তকমা দিয়েছেন “মাফিয়া লেডি” হিসাবে। সিদ্ধিআশ্রম, আগরতলা রেল স্টেশন এলাকায় কেউ জমি কেনা বেচা করলেই লেডি মাফিয়া সরস্বতীকে দিতে হয় গুন্ডা ট্যাক্স। এই সমস্ত অঞ্চলে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আসলেই হাজির তথাকথিত লেডি মাফিয়া সরস্বতী। রেলে আসা পন্য সামগ্রী থেকেই টেক্স পেয়ে থাকেন সরস্বতী।তিনি রক্তচক্ষু দেখিয়ে প্রতিনিয়ত আদায় করে নেন তোলা। এবং নিজের কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে করে টাকার নোট নিয়ে যান ঘরে। সিদ্ধিআশ্রম এলাকায় চক্কর কাটলেই খোদ বিজেপির কর্মীরা উগলে দেন সরস্বতী লোধের অপরাধের নানান উপাখ্যান।

সরস্বতীর লোধ সরাসরি ফোনে হুমকী দিয়ে বলছেন, তিনি একজনকে এক ঠ্যাং-য়ে ধরে আরেক ঠ্যাং ছিঁড়ে ফেলবেন।কোনো ম্যাইকেলার নেই তাকে বাঁচাতে। এবার ভাবুন, মাফিয়া লেডি সরস্বতী লোধের আস্ফালন কতটা? সরস্বতী এই হুমকি কাকে দিয়েছেন? নিজের ঘরের লোককেই। জমির তোলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাধারঘাটের ৪৬ নম্বর বুথের যুব মোর্চার সভাপতি রাকেশ লোধকে হুমকি দিয়েছেন। সরস্বতী ও রাকেশ সম্পর্কে পিসি – ভাইপো। ভাইপো রাকেশ পিসি সরস্বতীর অবৈধ রোজগারের মধুর ভান্ডে হাত দিয়েছিলো। আর তাতে চটে যান পিসি সরস্বতী।

আগরতলা রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি চার গন্ডা জমি ক্রয় করেছিলেন এক ব্যক্তি। এই ব্যক্তির কাছ থেকে ভাগ – বাটোয়ারা নিয়েই মূলত সংঘাত শুরু পিসি – ভাইপোর মধ্যে। অভিযোগ, পিসি আগেই জমির মালিকের কাছ থেকে তোলা আদায় করে নিয়েছিলো।এখবর জানতে পারে যুব নেতা ভাইপো রাকেশ। তখন তোলা আদায়ের জন্য ভাইপো ছুটে যায় এই জমিতে।সেখানে তখন চলছিল বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ। ভাইপো টাকা না পেয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন পিসি তথা এলাকার মাফিয়া লেডি সরস্বতী।

এমন হুমকির ঘটনা সরস্বতীর জন্য নতুন নয়। এর আগেও সরস্বতী প্রকাশ্যে তোলার টাকার জন্য হুমকি দিয়েছিলো এক ব্যক্তিকে।এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায়।এরপর মাফিয়া লেডি সরস্বতীকে মহিলা মোর্চা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে
সরস্বতীকে ফের জায়গা দেওয়া হয় মহিলা মোর্চাতে।
রেলে আসা পণ্য সামগ্রী থেকেও মাফিয়া লেডি সরস্বতীকে ট্যাক্স দিতে হয়। অন্যথায় পণ্য সহ গাড়ি আটক করে রাখেন সরস্বতী। অভিযোগ, ২৩- র নির্বাচনের পর শুকরের ছানা বোঝাই একটি গাড়ি হাইজ্যাক করেছিলেন সরস্বতী। গাড়িটি রেল স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর টাকা দাবি করেছিলেন মাফিয়া লেডি। টাকা না পাওয়াতে শুকরের ছানা বোঝাই গাড়ি হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়েছিলেন শহর দক্ষিণের অপরাধ জগতের ” হাসিনা ” সরস্বতী।

বিজেপির অন্দর মহলের খবর, শুকরের ছানা ক্রয় করা ব্যবসায়ীটি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের ঘনিষ্ঠ। শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। তিনি ফোন করেন বাধারঘাটের বিধায়িকা মীনা সরকারকে। এরপর মীনা সরকারের হস্তক্ষেপে অল্প টাকার বিনিময়ে শুকরের ছানা বোঝাই গাড়িটি ছেড়ে দেন সিদ্ধিআশ্রমের শাসক দলীয় মাফিয়া ডন সরস্বতী লোধ। দর্শক বন্ধু এবার ভাবুন মাফিয়া লেডি সরস্বতীর “খেমতা”র বহর। ছি: ছি:। কোথায় বিজেপি নেতৃত্ব? কি করছেন বিধায়িকা মীনা সরকার ও মহিলা মোর্চার রাজ্য নেত্রীরা?