
ডেস্ক রিপোর্টার, ১০সেপ্টেম্বর।।
দেশের ছয় রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ ভোটের ফলাফল ঘোষনা হয়েছিলো শুক্রবার। তার মধ্যে ত্রিপুরায় দুইটি আসন। পশ্চিম বাংলায় একটি। কেরেলা, উওর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরাখন্ডের একটি করে আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ঘোষিত ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,ত্রিপুরার দুইটি আসন পেয়েছে বিজেপি।বাংলার একটি আসন দখল করেছে শাসক দল তৃণমূল। কেরলের আসনটি গিয়েছে বিরোধী কংগ্রেসের দখলে। উত্তর প্রদেশের আসনটি দখল করেছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি। ঝাড়খন্ডের আসনটি দখল নিয়েছে, সেই রাজ্যের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। উত্তরাখণ্ডের শাসক দল বিজেপি। সেই রাজ্যের আসনটি দখল করেছে ভাজপা।

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পস্ট উপ নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যেই শাসক দলের জয় জয়কার।ব্যতিক্রম উত্তর প্রদেশ ও কেরল। এই ফলাফল ঘোষণার পরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে গেলো গেলো রব শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশ জুড়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ২৪- এ ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। উপ নির্বাচনে বিজেপি হেরে ভূত হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবিরের নেতারা এই ভাষায় ছয় রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফলাফলকে বিশ্লেষণ করছেন।বাস্তব অর্থে চিত্রটা কি এরকম? অন্তত না!

রাজনীতিকরা বলছেন, উপ নির্বাচন মানেই শাসকের পাল্লা ভারী থাকবে।দেশের সব রাজ্যেই একই অবস্থা।এই ধারাবাহিকতা চলে এসেছে অনন্ত কাল ধরেই। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম হয় নি। সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে চার রাজ্যে শাসক শক্তি জয়ী হয়েছে। ত্রিপুরা ও উত্তরাখণ্ডে শাসকের চেয়ারে বিজেপি।প্রত্যাশিত ভাবেই দুই রাজ্যে জয়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ঝাড়খন্ডের শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।তারাও জয়ী হয়েছে একটি মাত্র আসনে। বাংলায় একই চিত্র। উপ নির্বাচন হয়েছে একটি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যাশিত ভাবে জয়ী হয়েছে।

ছয় রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে ব্যতিক্রম উত্তর প্রদেশ ও কেরলে। উত্তর প্রদেশের শাসক দল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরও ঘোষি কেন্দ্রটি হাত ছাড়া হয়েছে। এই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টি। এটা অবশ্যই নিশ্চিত ভাবে বিজেপিকে ভাবাবে।

দেশীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের গুরুত্ব আলাদা। তবে তার জন্য বিজেপির সব শেষ হয়ে গিয়েছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। হয়তো বা তাতে ইন্ডিয়া জোট সামান্য অক্সিজেন পেতে পারে।

অন্য দিকে কেরলে রাজনীতিতে মূল শক্তি কংগ্রেস ও সিপিআইএম।জাতীয় স্তরে তারা আবার মিত্র শক্তি।এখন বাংলা ও ত্রিপুরাতে তারা হাতে হাত রেখে রাজনীতি শুরু করেছে।আবার অবাক করার মতো ঘটনা ইন্ডিয়া জোটের মূল কমিটিতে নেই সিপিআইএম।

তা সত্বেও ত্রিপুরা ও বাংলায় বাম – কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে বজায় রেখে চলছে মধুর সম্পর্ক। রাজনীতিকদের বক্তব্য, দেশের ছয় রাজ্যের সাত কেন্দ্রের উপ নির্বাচন দিয়ে ২৪- খেলায় বিজেপিকে মাপলে ভুল হবে ইন্ডিয়া জোটের। উপ নির্বাচনের ফলাফল ছিলো ধারাবাহিক নিয়মের একটি অংশ।