ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯মে।।
                     সম্প্রতি রাজ্যের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সম্রাট কর ভৌমিক রাজধানীর পশ্চিম থানার লকআপের দৈন্য দশা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি থানার লকআপের দৈন্যতা তুলে ধরেছিলেন প্রকাশ্যে। আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক বলেছিলেন, ” থানার লকআপটিতে পশু থাকার অযোগ্য। ছয় ফুট বাই ছয় ফুট লকআপে কোনো ভাবেই মানুষ থাকতে পারবে না। লকআপের বাথরুম, টয়লেটের অবস্থা অথৈ জলে। লকআপে থাকা অভিযুক্তদের মশার কামড় সহ্য করতে হচ্ছে।”

।।আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক।।

আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক বলেছেন,  থানার লকআপের করুন অবস্থার কথা তিনি আদালতকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জুনিয়র আইনজীবীরা স্বচক্ষে লকআপের এই জরাজীর্ণ দেখে এসেছেন।এবং রিপোর্ট করেছেন তার কাছে। আইনজীবীর বক্তব্য ছিলো,দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সমস্ত নির্দেশ লঙ্ঘন করছে লকআপগুলি।


রাজ্যের সিনিয়র আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিকের মুখে ভেসে উঠা থানার লকআপের বর্ণনা একেবারেই সত্যি।রাজ্যের সব কয়টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি গুলিতে থাকা লকআপের অবস্থা একই। প্রতিটি লকআপ বিদ্রুপ করছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্যের থানা ও ফাঁড়ির লকআপগুলির করুন অবস্থা নতুন নয়। বছরের পর বছর একই হালে চলছে লকআপগুলি। যে জায়গাটি পশুদের জন্য অযোগ্য, সেখানে মানুষ কিভাবে থাকবে? একজন আইনজীবী হিসাবে সম্রাট কর ভৌমিক এই তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন। তার জন্য অবশ্যই তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


তবে এখন কেন? সাধারন মানুষের কথায়, এর আগে সম্রাট কর ভৌমিক কখনো তো সরব হন নি থানার লকআপের অবস্থা নিয়ে। তিনি বহু মামলা করেছেন।প্রতিটি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদেরও এই সমস্ত লকআপেই থাকতে হয়েছে। তখন কেন সম্রাট কর ভৌমিক কিছু বলেন নি? মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে তিনি আগেই সরব হতে পারতেন লকআপ ইস্যুতে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে একজন আইনজীবী প্রশাসনকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন।প্রয়োজনে জন স্বার্থে আদালতে মামলাও দায়ের করতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের এই সিনিয়র আইনজীবী এমন কিছু করেন নি।

।।ভিকি হত্যা মামলায় ধৃত সানি।।

বর্তমানে ভিকি হত্যা মামলায় ধৃতদের জন্য থাকা থানার লকআপ থাকার অযোগ্য। তিনি এই বিষয়টি জানিয়েছেন আদালতে। আগে কখনো সম্রাট কর ভৌমিক লকআপের দৈন্য দশা  আদালতকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন বলে জানা নেই। হয় তো বা দিতেও পারেন।


একটা বিষয় পরিষ্কার ভিকি হত্যা মামলায় ধৃত সম্রাট কর ভৌমিককের মক্কেলরা হয়ে উঠেছে “ভেরি ভেরি স্পেশাল”। তাই লকআপে তারা ভালো অবস্থায় নেই। স্পস্ট ভাবেই বিষয়টি খোলসা করেছেন তিনি।
        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *