ডেস্ক রিপোর্টার, ২৬মে।।
     সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশের উপকূল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।বর্তমানে এটি বাংলাদেশের যশোরের কাছে অবস্থান করছে। অর্থাৎ রেমাল এখন আগরতলার প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে ধীরে ধীরে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
     ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে, রাজ্যে সোমবার সকাল ৮টা.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৩০মিনিট  পর্যন্ত গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০.৭৩ মিমি।  সর্বাধিক বৃষ্টিপাত পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৫৯.৫মিমি এবং সর্বনিম্ন উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২৭মিমি।  এদিন সর্ব্বোচ বাতাসের বেগ রেকর্ড করা হয়েছে। এটা ছিলো পশ্চিম ত্রিপুরার এডি নগরে। ঘণ্টায় ৫৩.৭ কিলো মিটার বেগে।


রাজ্যের কয়েকটি স্থানে ঝড়ো হওয়াতে গাছ – গাছালি রাস্তায় ভূপতিত হয়েছে।এছাড়া কোনো জেলাতেই তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা নেই । বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির মতো কোনো ঘটনার খবর নেই রাজ্য প্রশাসনের কাছে। সক্রিয় ভাবে কাজ করছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দল, এসডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স। এনডিআরএফকে কয়েকটি জায়গাতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে ব্যাবহার করা হয়েছে।
   


আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার কিছু কিছু অঞ্চলে লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।এবং  রাজ্য জুড়ে বিচ্ছিন্ন জায়গায় বজ্রঝড় সহ বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলার জন্য জরুরী অপারেশন কেন্দ্রগুলি চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে৷  এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক সর্বক্ষণ সক্রিয়। যেসব অঞ্চলে ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চল গুলির কাছাকাছি এনডিআরএফকে আগাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, পূর্ত ,বন, খাদ্য দপ্তর ইত্যাদি সহ লাইন বিভাগ এবং গ্রাউন্ড লেভেলের কর্মীরা জেলা প্রশাসনের সাথে  সমন্বয়ে রক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড়ের যে কোনও প্রভাব প্রশমিত করার জন্য তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সক্রিয়। হাসপাতাল এবং  উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির কর্মীরাও আছেন সজাগ দৃষ্টিতে।  ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতি গ্রস্থ মানুষের আশ্রয় সহ  ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও মহকুমা শাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিব পর্যায়ের অফিসাররা কাজ করছে সর্বক্ষণ। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমস্ত কর্মীরা।অর্থাৎ  ঘূর্ণিঝড় রেমাল  মোকাবেলায় সর্ব দিক থেকে প্রস্তুত রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *