তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,৫ মার্চ।। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নিজ বিধানসভা এলাকার বহু ছাত্র- ছাত্রী স্টাইপেন্ড থেকে বঞ্চিত। এর দায় এড়াতে পারবেন না প্রদ্যুৎ কিশোরের ঘনিষ্ঠ এমডিসি কমল কলই। এটা তাঁরও নির্বাচনী কেন্দ্র। ছাত্র- ছাত্রী কেন স্টাইপেন্ড থেকে বঞ্চিত? কারণ, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের নেই কোনো সরকারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এটা কিভাবে সম্ভব ? হ্যাঁ, এটাই বাস্তব চিত্র। অথচ যেখানে রাজ্য সরকার বলছে,” রাজ্যের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে সুশাসন”। জোট শরিকের নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর বলছেন, “জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য তাঁর প্রাণ নিবেদিত।” ” জনতার মশাল”- এই করুন চিত্র খুঁজে পেয়েছে তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে হাজরা বাড়িতে।এই গ্রামেই আছে একটি স্কুল। নাম হাজরাবাড়ি সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ে। মূলত এই গ্রামটিতে রিয়াং জনগোষ্ঠীর বসবাস।স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রাইমার এবং আপার প্রাইমারি দুই বিভাগে স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৫৫ জন। প্রাইমারি বিভাগে ৪৫ জন। তাদের কাউর নেই কোনো সরকারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।স্কুলের আপার পাইমারি বিভাগে মোট ছাত্র সংখ্যা ১০ জন। তাদের মধ্যে দুইজন ছাত্র স্টাইপেন্ড পেয়েছে। বাকিরা পায়নি। কারণ তাদেরও কোনো কাগজপত্র নেই।
।মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ও এমডিসি কমল কলই।
শুধু কি তাই, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের আজও নেই রেশন কার্ড থেকে শুরু আধার কার্ড। ব্যাংক একাউন্ট থেকে বার্থ সার্টিফিকেট। নেই কাস্ট সার্টিফিকেট ও পিআরটিসি। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদেরও এই সমস্ত কাগজপত্র নেই। কাগজপত্র না থাকার কারণে তারাও প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলের সরকারি স্টাইপেন্ড থেকে।
স্থানীয় অবশ্যই কাউর কোনো হেলদোল নেই। মন্ত্রী থেকে এমডিসি ঘুমাচ্ছেন নাকে তেল দিয়ে। ঘুরছেন সরকারি গাড়িতে। ঢেকুর তুলছেন উন্নয়নের নাম করে। তারাই গলায় স্লোগান ধরছেন সুশাসনের।কিন্তু কোথায়? সবটাই যেনো ফাঁকা আওয়াজ।
ছাত্রছাত্রীরা প্রতি বছর প্রাপ্য স্টাইপেন্ড থেকে বঞ্চিত হলেও হেলদোল নেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার। তিনিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেন নি। মন্ত্রী থেকে এমডিসি ও স্থানীয় নেতৃত্ব সবার খামখেয়ালীপনার জন্য হাজরাবাড়ি এলাকার সাধারণ জনগণকে ভুগতে হচ্ছে। তার খেসারত দিচ্ছে স্কুলের ছাত্র – ছাত্রীরাও। ছিঃ ছিঃ।এটাই কি রাজ্য ও এডিসি প্রশাসনের সুশাসনের নগ্ন চিত্র?