শহরের ৬- আগরতলা মন্ডলকে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার এই মন্ডলের সভাপতির বিরুদ্ধে থাকা নালিশ জমা পড়লো মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। নেপথ্যে শহর সংলগ্ন নন্দন নগরের ১৬ কানি জমি ( সেন্টুর বাগান)। অভিযোগ করেছেন, রাজ্য প্রশাসনে কর্মরত কয়েকজন জনজাতি সম্প্রদায়ের আধিকারিক।
সরকারী অধিকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, কয়েকজন আধিকারিক যৌথ ভাবে নন্দননগরের সেন্টুর বাগান বলে পরিচিত ১৬ কানি জমি ক্রয় করেন মালিকের কাছ থেকে। সেন্টুর বাগান থেকে জমি ক্রয় করেছেন একজন বিধায়কও। প্রশাসনের আধিকারিকদের অভিযোগ, জমি ক্রয় করার পর তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন ৬- আগরতলার মন্ডল সভাপতি তপন ভট্টাচার্য্য। মণ্ডল সভাপতির লোকজন নিয়মিত আধিকারিকদের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। নরমে – গরমে হুমকিও দেয়। তোলার টাকা না দিলে এখানে বাড়ি তৈরি করতে পারবে না বলেও হুমকি দেয়। মণ্ডল সভাপতি তপন ভট্টাচার্যের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন আধিকারিকরা।একই ভাবে তারা আতঙ্কগ্রস্থও।
এলাকায় কান পাতলে মন্ডল সভাপতি তপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে থাকা নানান দুর্নীতির উপাখ্যান শোনা যায় বলে দাবি করেছেন সরকারী আধিকারিকরা।
এলাকায় কান পাতলে মন্ডল সভাপতি তপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে থাকা নানান দুর্নীতির উপাখ্যান শোনা যায় বলে দাবি করেছেন সরকারী আধিকারিকরা। “শেষ পর্যন্ত তারা আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন।এবং মন্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে “নালিশ পত্র” দাখিল করেছেন।”- জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা বিষয়টি নিয়ে যাবেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের টেবিলেও। পাশাপাশি তারা বিষয়টি অবগত করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সান্তনা চাকমাকেও।
আতঙ্কগ্রস্ত সরকারি আধিকারিকরা দারস্ত হবেন প্রদ্যুৎ কিশোরের কাছেও।
স্থানীয় বিজেপির লোকজনের কথায়, মণ্ডল সভাপতি তপন ভট্টাচার্যের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ আগরতলা পুর নিগমের ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটররা। অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতির জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলির উন্নয়নের কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে।
।প্রতীকী ছবি।
কারণ এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে উন্নয়ন মূলক কাজ করতে যাওয়া ঠিকাদারদেরকেও দিতে হয় কাঞ্চনমূল্য। সব মিলিয়ে গত কয়েকমাস আগে ৬- আগরতলা মন্ডলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া তপন ভট্টাচার্যের আঙ্গুল ফুলে এখন কলাগাছ হয়ে উঠছে বলে দাবি শাসক গোষ্ঠীর লোকজনের।