ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯ এপ্রিল।।
বহু বছর ধরেই জম্মু কাশ্মীরের ইন্দো – পাক সীমান্তে বুলেট ও গোলাবারুদের শব্দ উধাও। তবে শোনা যায়, সেনার বুটের মৃদু শব্দ। নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিলো ডরভয়। নির্জনতায় খাঁ খাঁ করছিলো নিয়ন্ত্রণরেখাতে থাকা জনগণের বাঙ্কার গুলি। ভরে গিয়েছে ঝোঁপঝাড়ে। বাঙ্কারের দেওয়ালে ঝুলের পরত।
কিন্তু, পহেল গ্রামের ঘটনার পর ফের নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে থাকা গ্রামবাসীদের ঘুম ভাঙ্গলো শেলিং ও মর্টার ফায়ারিংয়ের শব্দে। কাশ্মীরীদের কাছে ফিরে এলো সেই হারিয়ে যাওয়া দৃশ্য।।সীমান্তের দুই পা যুদ্ধের আবহের কথা মাথায় রেখে গ্রামবাসীরা এখন বাঙ্কার পরিস্কারে হাত লাগিয়েছে।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার সংলগ্ন গ্রামের লোকজনকে নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রের মোদি সরকার সীমান্তে তৈরি করেছিল বাঙ্কার। স্থানীয়রা এই বাঙ্কারকে “মোদী বাঙ্কার ” বলে থাকেন। মূলত সীমান্ত পাড়ের শেডিং, গোলাগুলি থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে আন্ডারগ্রাউন্ডে তৈরি করা হয়েছিল আট হাজার বাঙ্কার। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন গ্রাম পুঞ্চ, রাজৌরি, কাঠুয়া, সাম্বাতে এই সমস্ত বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। শেষ চার বছর কাশ্মীরে শান্তি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট গ্রামের লোকজনকে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়নি। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল থেকে পরিস্হিতি পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধের আতঙ্কে গ্রামবাসীরা বাঙ্কারগুলিতে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তারা খাটিয়া, তোষক, কম্বল, বিছানা বাংকারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় জিনিসও তারা মজুত করছে বাঙ্কারে।

এই মুহূর্তে সীমান্তের দুই দিকেই ভারত – পাক সেনারা সজ্জিত রন সাজে। যেকোনো সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে ভারত। তখন পাকিস্তানও বসে থাকবে না। পাক সেনারাও করবে পাল্টা প্রত্যাঘাত। এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের পক্ষে সীমান্তে থাকা কষ্টকর। তাই নিরাপদে থাকার জন্য মোদী বাঙ্কারকে বেছে নিয়েছে সীমান্ত গ্রামের লোকজন।
অবশ্যই ভারতীয় সেনা আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধে নামার আগে সীমান্তে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেবে। তারপরেই শত্রুপক্ষকে জব্দ করতে আন্তর্জাতিক সীমানা ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় নিজেদের সামরিক কার্যকলাপ শুরু করবে।
#Tripura #Indo – Pak #J-K#LOC#Modi#Bunker#Army#JM