থানায় কম মামলা রুজু করে থানাদার সহ এসডিপিও ও এসপিরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের সাফল্যের সার্টিফিকেট তুলে ধরেন।
আভিযোগ, শহরের আশপাশের থানা গুলিতে মামলা করতে গেলেও সাধারণ মানুষকে টাকা খরচ করতে হয়। আক্রান্ত লোকজন গাটের পয়সা খরচ করলেই নাকি পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা রুজু করে। আর টাকা না দিতে পারলে ঘটনা চলে যায় জিডি’র এন্ট্রির খাতায়। দেখছি, দেখবো বলে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারা।
রাজ্য পুলিশে এক নতুন সংস্কৃতির আমদানি ! থানাগুলি এখন এফআইআর রাখতে চাইছে না।প্রতিটি ঘটনার পর বাদী – বিবাদী উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়ে থাকে পুলিশ। এর ফলে আক্ষরিক অর্থে আক্রান্ত লোকজন পুলিশের দরজায় দরজায় ঘুরেও বিচার পাচ্ছেন না। থানাদার থানায় দায়ের করছে না এফআই আর। অভিযোগ, প্রভাবশালী লোকজনের হস্তক্ষেপ না থাকলে পুলিশ মামলাই লিপি বদ্ধ করে না।শুধু মাত্র জিডি এন্ট্রি করেই দায়িত্ব খালাস করে নেয়। স্বাভাবিক ভাবেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অপরাধের লেখচিত্রে অপরাধের সংখ্যাও থাকে তলানিতে। আর এটাকে পুলিশ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তাদের সফলতা বলে জাহির করে থাকে। রাজ্য পুলিশের এই চিত্র সবকটি থানাতেই। বলছেন খোদ পুলিশ কর্মীরাই।
রাজ্যের থানাগুলি এখন বাইক চুরির ঘটনা ঘটলে মামলা রুজু করে না।তাদের স্থান হয় পুলিশের জেনারেল ডিউটির( জিডি) খাতায়।
রাজ্যের থানাগুলি এখন বাইক চুরির ঘটনা ঘটলে মামলা রুজু করে না।তাদের স্থান হয় পুলিশের জেনারেল ডিউটির( জিডি) খাতায়। এর ফলে বাইক খোয়া যাওয়া লোকজনকে ইন্সুরেন্সের টাকা পেতেও কাল ঘাম ছুটাতে হয়। কারণ ইন্সুরেন্স কোম্পানী গুলো মামলা ব্যতীত কোনো টাকা দেয় না। এর ফলে মহা ফাঁপরে পড়তে হয় খোয়া যাওয়া বাইকের মালিককে।অথচ রাজ্যের বুকে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে বাইক চুরির ঘটনা।ফলাও করে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমেও।
আভিযোগ, শহরের আশপাশের থানা গুলিতে মামলা করতে গেলেও সাধারণ মানুষকে টাকা খরচ করতে হয়। আক্রান্ত লোকজন গাটের পয়সা খরচ করলেই নাকি পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা রুজু করে। আর টাকা না দিতে পারলে ঘটনা চলে যায় জিডি’র এন্ট্রির খাতায়। দেখছি, দেখবো বলে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারা।
এটাকে বড় করে দেখিয়ে ডিজিপি ডিস্ক থেকে শুরু করে নানান রিওয়ার্ড পেয়ে থাকেন থানা স্তরের আধিকারিকরা।
থানায় কম মামলা রুজু করে থানাদার সহ এসডিপিও ও এসপিরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের সাফল্যের সার্টিফিকেট তুলে ধরেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও তাতে খুশি। এর ফলে সরকারি ভাবেও কমে যাচ্ছে মামলার সংখ্যা। এটাকে বড় করে দেখিয়ে ডিজিপি ডিস্ক থেকে শুরু করে নানান রিওয়ার্ড পেয়ে থাকেন থানা স্তরের আধিকারিকরা। তালিকায় আছে এসডিপিও থেকে এসপিরাও। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা।
খোদ রাজধানীই এখন নেশা কারবারের “মক্কা”।
খোদ রাজধানীই এখন নেশা কারবারের “মক্কা”। কয়েকদিন পর পর থানাদার, এসডিপিও ও এসপি পদ মর্যাদার আধিকারিকরা তিতপুঁটি নেশা কারবারীদের গ্রেফতার করেই মিডিয়াকে ডেকে হাসি মুখে ফটো সেশন করে থাকেন। কিন্তু এলিট ক্লাসের মাদক কারবারীরা থানার পুলিশ আধিকারিকদের কোয়ার্টারে বসে করে ককটেল পার্টি! বিনিময়ে তারা পুলিশকে দিয়ে যায় মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা।
কিন্তু পুলিশ রোজ মাদক দ্রব্যের কয়টি চালান আটক করছে?
রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম থানা, এনসিসি থানা, অরুন্ধতী নগর ও আমতলী থানা এবং শ্রীনগর থানা, বোধজং থানা এলাকা গুলিতে প্রতিদিন মাদক দ্রব্যের বড় বড় চালান আমদানি – রপ্তানী হয়।কিন্তু পুলিশ রোজ মাদক দ্রব্যের কয়টি চালান আটক করছে? তার হিসেব কি দিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট তারা গুলির থানাদার ও এসডিপিও বাহাদুররা? না, তারা সেই হিসেব দেবেন না।কারণ, তা দিলে কমে যাবে তাদের মাসিক উপরি কামাই। এটা হলফ করেই বলছেন থানা গুলিতে কর্মরত নীচু স্তরের পুলিশ কর্মীরা। সব মিলিয়ে থানায় এফআইআর না নিয়ে উপর ওয়ালাদের খুশি করে সমাজকে খোকলা করে দিচ্ছেন উর্দিধারীদের একাংশ।