আগরতলা, ২৫ জুন।।
ভারতের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে (কেরল, গুজরাট, পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ) নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ই.সি.আই.নেট চালু করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, চলতি বছরের ৪ মে কমিশন ই.সি.আই.নেট নামে একটি নতুন “ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল, যা কমিশনের বিদ্যমান ৪০টিরও বেশি মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনকে একত্রিত করে। উপনির্বাচনে ই.সি.আই.নেট-এর কিছু মডিউলের সফল প্রয়োগ হয়েছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহে এই প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণরূপে চালু হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও নির্বাচন কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু এবং ড. বিবেক যোশি-র নেতৃত্বে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে, যাতে সময়মতো এবং আপডেটেড নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য ভোটার ও অন্যান্য অংশীদারদের কাছে পৌঁছানো যায়।
এই উপনির্বাচনে এক বড় সাফল্য ছিল প্রিসাইডিং অফিসার (পি.আর.ও.)-দের দ্বারা সরাসরি ই.সি.আই.নেট-এ ভি.টি.আর. ট্রেন্ডস আপলোড করা, যা আগে ম্যানুয়ালি করা হতো। এরফলে তথ্য দ্রুত শেয়ার করা সম্ভব হয়েছে, স্বচ্ছতা বেড়েছে এবং ভি.টি.আর. ট্রেন্ড প্রকাশে সময় অনেক কম লেগেছে। ই.সি.আই.নেট-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, পি.আর.ও.-রা নিজেদের ভোটকেন্দ্র ত্যাগের আগে চূড়ান্ত ভি.টি.আর. সংখ্যা আপলোড করেন, যার ফলে জনসাধারণের জন্য দ্রুত ভি.টি.আর. ট্রেন্ডস উপলব্ধ হয়।
ই.সি.আই.নেট চালুর আরেকটি বড় ফল হল ইনডেক্স কার্ড দ্রুত প্রকাশ করা যা ভোট গণনার ফলাফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই উপলব্ধ হয়েছে। চলতি মাসের ৫ই জুন এই প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করে দ্রুত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন ব্যবস্থায়, ই.সি.আই.নেট-এর ইনপুট ব্যবহার করে ইনডেক্স কার্ডের বেশিরভাগ তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়। এর আগে, এই কার্ড প্রস্তুত করতে দিন, এমনকি সপ্তাহ বা মাস লেগে যেত, কারণ তথ্য ম্যানুয়ালি পূরণ ও যাচাই করতে হতো।
ইনডেক্স কার্ড একটি আইনগত নয় এমন পরিসংখ্যানভিত্তিক রিপোর্ট ফর্মেট, যা ১৯৮০-এর দশকে নির্বাচন-পরবর্তী তথ্য জনগণের কাছে সহজলভ্য করার জন্য কমিশন নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছিল। এটি গবেষক, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক এবং সাধারণ জনগণের জন্য ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন স্তরের তথ্য প্রদান করে যেমন প্রার্থীদের তথ্য, ভোটার সংখ্যা, প্রদত্ত ভোট, গণনা হওয়া ভোট, দল ও প্রার্থীভিত্তিক ভোট শতাংশ, লিঙ্গভিত্তিক ভোটার প্রবণতা, আঞ্চলিক পার্থক্য এবং রাজনৈতিক দলের পারফরম্যান্স ইত্যাদি।
এই রিপোর্টগুলি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট
https://www.cci.gov.in/statistical-reports-তে উপনির্বাচনের ট্যাবে পাওয়া যাবে। ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে এক প্রেস নোটে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।
